সম্প্রত আমি একটা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকে চাকুরী নিয়েছি; ওখানে আমি ব্যতিত আরো ২ জন বাংগালী আছেন, উনারা ২ জনই বুয়েট থেকে; একজনের সাথে আমার চলাফেরা আছে। গত শুক্রবারে, গ্রুপের পটলাক(গ্রুপের লোকেরা খাবার রান্না করে নিয়ে আসে) ছিলো; ১৩২ জন জমায়েত হয়েছিলো, বুয়েটের ২ জনই অনুপস্হিত। ১৩২ জনের মাঝে ৪/৫ জন সাদা আমেরিকান ছিলো, একজন চাইনীজ, ৩/৪ জন রাশিয়ান, বাকীরা ভারতীয়; ভারতীয়দের মাঝে বেশীর ভাগই মেয়ে; এদের মাঝে ৩৫/৩৬ বছরের বেশী বয়সের তেমন কেহ ছিলো না। বুয়েটের ২ জনের অনুপস্হিত থাকার কারণ, ভারতীয়রা রান্না করে আনবে, হালাল থাকবে কিনা জানে না। ৯০ জনের বেশী মেয়ে ছিলো; খাওয়া ব্যতিত ৬/৭ ধরণের আনন্দজনক খেলাধুলা হয়েছে, পুরো অনুষ্ঠান চালনা করেছে মেয়েরা; আমি কোথায় ভুলত্রুটি দেখিনি, পুরো অনুষ্ঠানে হৃদ্যতা ছিলো চোখে পড়ার মতো; এই বয়সের মেয়েরা ঢাকায় ভয়ংকর অবস্হার মাঝে গার্মেন্টস'এ চাকুরী করছে।
দেশ আজকে যেখানে গেছে, এর জন্য দায়ী শিক্ষিতরা; দেশের বড় ৪ রাজনৈতিক দলে আছে শিক্ষিতরা, দেশের ব্যুরোক্রেসীতে আছে শিক্ষিতরা, প্রশাসনে আছে শিক্ষিতরা; এর বাইরে শিক্ষিতরা আছে প্রাইভেট কর্পোরেশনে ও শিক্ষায়। দেশের সরকার গঠনে ও পরিচালনায় অশিক্ষিতদের কোন ভুমিকা আজ আর নেই।
দেশ আজকে যেখানে গেছে, এটাই দেশের গন্তব্য ছিলো অনেকটা; কিন্তু ইহা পুরো জাতির জন্য ভোগান্তি ছাড়া আর কিছু নয়; জাতি বিশ্বের অন্যদের চেয়ে পেছনে পড়ছে ক্রমাগতভাবে; এভাবে পেছনে পড়তে থাকলে জাতির অবস্হা আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন বা সিরিয়ার মতো হয়ে যেতে পারে; যেই ধরণের মানুষের কারণে ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সিরিয়া বিপদে পড়েছে ও পাকিস্তান পড়তে পারে, আমাদের দেশে সেই ধরণের জনসংখ্যা বাড়ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোতে ও সরকারে যেসব শিক্ষিত আছে, এদের চেয়ে দেশের অশিক্ষিতরা নাগরিক হিসেবে হাজার গুণে ভালো; সরকার ও রাজনৈতিক দলের শিক্ষিতরা দেশকে বাজার হিসেবে ব্যবহার করছে; অশিক্ষিতদের এরা পুরোপুরি দাস হিসেবে ব্যবহার করছে; অশিক্ষিতরা কোনভাবে এদের চক্রান্তের জাল থেকে নিজেরা বের হতে পারবে না; শিক্ষিতদের সাহায্য ছাড়া সরকারের ও রাজনৈতিক দলের চলমান চক্রান্ত থেকে জাতি বের হতে পারবে না; শিক্ষিতদের এই নিয়ে ভাবার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯