প্রথমত: ইরানের এটম বোমার দরকার নেই; তারপর, তাদের হাতে এটম বোমা গেলে, সৌদী ও ইসরায়েলে এটম বোমা না ফেলা অবধি
অশান্তিতে ঘুমাতে পারবে না ইরানীরা। অবশ্য, তারা সৌদী কিংবা ইসরয়েলের উপর বোমা ফেলার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময়, তাদের দেশে কয়েকটা বোমা ফেলবে ইসরায়েল ও আমেরিকা।
ইরানের মানুষের দীর্ঘ ইটিহাস আছে; তারা পারস্য সাম্রাজ্য স্হাপন করেছিলো মধ্য-এশিয়ায়; তাদের সাহিত্য, সংস্কৃতির ইতিহাসও লম্বা; ধর্মীয় দিক থেকে তারা এক সময় অগ্নি-উপাসক ছিলো; এখন শিয়া ধর্মাবলম্বী। প্রাচীন অগ্নি-উপাসক হিসেবে এখনো অগ্নিকে ভালোবাসে, এটম বোমা তৈরি করতে চায়; এটম বোমা অনেকেই তৈরি করেছে; ইসরায়েল এখনো কাউকে বলেনি যে, তারা এটম বোমা বানায়েছে; কিন্তু ইরান বোমা বানানোতে হাত দিয়ে, উৎসব করে বলেছিলো যে, বিশ্বম্যাপ থেকে ইসরায়েলকে মুছে দেয়া হবে; ফলাফল, এখন বানানোর অনুমতি পাচ্ছে না।
আমেরিকা ইরানকে বোমা বানাতে বাধা দিয়ে আসছে; তারা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে একটা চুক্তি করেছিলো যে, ২০২৬ সালের দিকে তারা নিজেদের নিরপত্তার জন্য ২টি এটম বোমা বানাবে। এই চুক্তিটি মৌখিকভাবে নাকচ করে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প; ট্রাম্প বলছে, ইরানীদের হাতে বোমা থাকতে পারবে না; বোমা ধারণ করার মত মানসিকতা তাদের নেই।
ইরান তেল ও উন্নত মানের জীবনের জন্য বিশ্বে সব সময় সুপরিচিত ছিল; সেখানে, অনেক কবি, লেখক, দার্শনিকের জন্ম হয়েছিলো; কিন্তু টাকা থাকলে ইরানে রাজতন্ত্রের কারণে আনুপাতিক হারে মানুষের জীবনের মান বাড়ছিলো না; তারা রাজতন্ত্রের অবসান ঘটায় বিপ্লবের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের বিপ্লব হঠাৎ করে ইসলামী বিপ্লবে পরিণত হয়; মানুষ গণতন্ত্র দেখেনি আজো; দেশের সরকারের উপর আরেকটা সরকার আছে, উহা ইসলামিক বিপ্লবীদের সরকার; দেশের সৈন্য বাহিনীর উপর আরেকটি সেনা বাহিনী আছে, উহা ইসলামিক বিপ্লবী বাহিনী। আজকেও, অবস্হা আগের মতো, তাদের টাকায়, তাদের থেকে ভালো থাকে লেবাননের সন্ত্রাসীরা।
ইরানের সাথে সৌদীর সীমান্ত বা তেল নিয়ে সমস্যা নেই, আছে আধিপত্য নিয়ে সমস্যা; ইরানীরা শিয়া, সৌদীরা ওয়াহাবী; এই ২ জাতি আরবদের ২ ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে, আরবে মানুষ মরছে মাছির মতো এই ২ দেশের কারণে; আরবের বাহিরেও তারা নিজেদের বলয় প্রসারিত করেছে। লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাকে তারা তাদের অনুগত সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। তাদের লম্বা হাত অবশ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশে, ইন্দোনেশিয়া অবধি প্রলম্বিত। এই কারণে, আমেরিকা ও ইউরোপ মনে করে যে, এদের হাতে বোমা থাকা ঠিক হবে না।
ট্রাম্প মৌখিকভাবে চুক্তি বাতিল করার পর, ইরান নতুন করে বোমা বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, এবং জুন মাসে চুল্লীতে আগুন দেবে বলেছে। আমেরিকা বলছে, চুল্লীতে আগুন দিলে আগুন লাগবে ইরানে; আমেরিকা ইরান উপকুলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬