somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট বাচ্চার প্রতি স্নেহ, মায়ার বদলে যৌন আকর্ষণ কেন?

১০ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোট বাচ্চার প্রতি স্নেহ, মায়ার বদলে যৌন আকর্ষণ অনুভব করাটা ভয়ানক মানসিক সমস্যা, বেশ বড় রোগ; বাংলাদেশে কমপক্ষে শতকরা ১৫ ভাগ মানুষের মানসিক সমস্যা আছে; শতকরা এই ১৫ ভাগের একটা অংশ অস্বাভাবিক যৌন আকর্ষনে ভুগতে পারে; ফলে, সমাজে অস্বাভাবিক যৌন আকর্ষনের সমস্যা বিরাজ করছে; দেশের বর্তমান বিশৃংখল প্রশাসন ও বিদ্যমান সামাজিক সমস্যা ইহাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে; ইহার সমাধান বের করার জন্য নতুন করে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার দরকার, এই সমস্যা নিজের থেকে কমবে না। দেশের বর্তমান অর্থনীতি, প্রশাসনিক ব্যবস্হা, অস্বাভাবিক নগরায়ন, বস্তি ধরণের আবাসিক এলাকার বিস্তার, টোকাই সমস্যা, ব্যস্ত মা-বাবা, চাকর চাকরাণীর হাতে শিশুর ভার, ভাসমান ধরণের প্রতিবেশী, শিশুদের জন্য অস্হিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করছে।

ঢাকায়, ৭ বছরের শিশুটির উপর হত্যাকারীর যৌন আকর্ষণের নজর পড়েছিল কিছু সময় ধরে; সেটা কেহ লক্ষ্য করেনি, এবং হত্যাকারী নিজেও বুঝতে পারেনি যে, কি ভয়ংকর অস্বাভাবিক যৌন তাড়না তাকে মৃত্যুর দিকে টানছে। লোকটার চেহারা, বেশভুষা থেকে অনুমান করা সম্ভব যে, সে শিক্ষিত নয়, দরিদ্র, সঠিকভাবে মানুষ হওয়ার সুযোগ পায়নি। নিশ্চয় সে কোনদিন ব্লগিং করেনি, টিএসসি'তে ১ কাপ চা খেয়ে ক্লাশমেটদের সাথে আড্ডা দেয়নি, কোন এক সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সরোবরে কোন মেয়ের সাথে হাঁটেনি; তার জীবনটা সুন্দর ছিলো বলে মনে হয় না। তার জীবন যদি সুন্দর না হয়ে থাকে, সমাজ তার থেকে কি কি সুন্দর অবদান আশা করতে পারে? সমাজ কি আগে কখনো তাকে নিয়ে ভেবেছিলো, তাকে কেহ চিনতো, সে কি করছে, তা'নিয়ে কারো মাথা ব্যথা ছিলো? এখন সে যখন ভয়ংকর অপরাধ করেছে, সমাজ তাকে দেখছে, চিনতে পারছে, এখন সবাই তার বাবার নাম জানে; সবাই জানে যে, সে জীবনে সামজ থেকে হয়তো ভালো কিছুই পায়নি; তবে, সামজ থেকে সে এখন একটা বড় জিনিষ পাবে, সেটা হবে মৃত্যুদন্ড।

কয়েক লাখ টোকাই সারা দেশে ছড়ায়ে ছিটিয়ে আছে; এদের মাঝে যাদের বয়স ১২ বছরের বেশী, যারা রাস্তাঘাটে, ষ্টেশনে, লন্চঘাটে রাত কাটাচ্ছে, তাদের একাংশ কি ১০/১২ বছরের টোকাই মেয়ের সাথে ঘুমাচ্ছে না? এই স্বল্প বয়সে অস্বাভাবিক যৌন মিলনের ফলে, কেহ প্রাণ হারায়নি, কেহ যৌন রোগে ভুগছে না? এই সম্পর্কে কেহ কিছু বলছে, কেহ হা'হুতাশ করছে?এগুলো কি আজকের নতুন ঘটনা, এগুলো কি জাতির ভিত্তিতে হানা দেয়ার কথা নয়? মনে হয়, এগুলো এখন জাতির নার্ভে এসে পৌঁচেছে!

বস্তির মায়েরা যখন ৮/১০/১১ বছরের মেয়েকে তথাকথিত ঘরে রেখে ইট টানতে, বালু টানতে, বাসায় কাজ করতে যাচ্ছে, এসব মেয়েদের কেহ কি অপ্রয়োজনীয় ভয়ংকর আদর করছে না? অবশ্যই করছে, এবং পুরো জাতি সেটা জানে; এমন কি এসব বাচ্চাদের মায়েরাও জানে! এসব নিয়ে বস্তিতে ঝগড়া ফ্যাসাদ হয়; তবে, তারা এগুলোকে অনেকটা মেনে নিয়েছে, ৫ মিনিট গালাগালি করে সবাই শান্ত হয়ে যাচ্ছে; বস্তির বিচারে ভয় কম, মৃত্যদন্ড দেয় না, সেজন্য অস্বাভাবিক আদরের পর মেরে ফেলার দরকার হয় না, এদিকটা কমপক্ষে ভালো। তবে, জাতি এগুলো নিয়ে দীর্ঘ সময় কিছু বলেনি!

৭ বছরের বাচ্চাটাকে যেই লোক হত্যা করেছে, তাকে যদি ক্রস ফায়ারে না দিয়ে, সঠিকভাবে বিচার করে, ও মৃত্যুদন্ড দেয়, ওকে ঝুলানো অবধি সরকারের আধা-কোটী টাকা খরচ হবে এই লোকের পেছনে। কিন্তু সরকার যদি ওকে ১০ বছর বয়সে জানতো, চিনতো, ওর পড়ালেখা, স্বাভাবিক জীবন গঠনের জন্য সাইফুর রহমান, বা মুহিত কি আধা-লাখ টাকা খরচ করতো? কখনো করতো না। যেখানে খরচ করার দরকার, সেখানে খরচ না করলে, সমাজকে একদিন তার জন্য ক্ষতিপুরণ দিতে হবে; সেই একদিনটা এখন এসেছে দ্বারে!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×