Hospitals are not mosquito free!
ডেংগুর শুরুতেই ঢাকা মেডিক্যাল, পিজি ও অন্যান্য সরকারী হাসপাতালগুলোর উচিত ছিলো, বংগবন্ধু মিলনাতন, ও এই ধরণের সব বড় বড় মিলনায়তন, ও কম্যুনিটিটি সেন্টারগুলোকে দখল করে, নেট দিয়ে ঘেরাও করে, এয়ারকন্ডিশন সিস্টেম চালু করে, প্রতিটি ডেংগু রোগীকে সেখানে রেখে চিকিৎসা করা; তা'হলে, করিডোরে, খোলা হলে রাখার দরকার হতো না। সাথে সাথে ঘোষণা করার দরকার ছিলো, ডেংগু চিকিৎসা ফ্রি, কোন ডেংগু রোগী বাড়ীতে অবস্হান করলে, পরিবারকে বড় ধরণের জরিমানা করা হবে; তা'হলে ডাক্তার মরতো না, ডাক্তারেরা ডেংগুতে আক্রান্ত হতো না। রোগীদের ভালো যত্ন নিলে, ভালো খাবার ও পানীয় দিলে, এত মানুষের মৃত্যু হতো না।
১০০ জন ডাক্তার, ২০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ডেংগুতে আক্রান্ত হয়েছেন; ২/১ জন ডাক্তার মৃত্যুবরণও করেছেন; কিছু স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ হারায়েন। ডাক্তারদের ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেশীর ভাগই হাসপাতালেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, সম্ভাবত; অর্থাৎ, হাসপাতালগুলো মশামুক্ত নয়; হাসপাতালগুলোতে ডেংগু রোগীদের মশারীর ব্যবহারও মশার উপস্হিতির প্রমাণ করছে। ডেংগু রোগীদের হাসপাতালের করিডোর, খোলা হল এলাকায়ও রাখা হয়েছে; এগুলো ছিলো ডাক্তারদের ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে সংক্রমণের সহজ পথ, ও তাদের বুদ্ধিহীনতার প্রমাণ।
৩ মাসে ৮০/৯০ হাজার রোগীকে হাসপাতালে রাখার মতো ফেসিলিটি ঢাকার হাসপাতালগুলোর নেই; সর্বোপরি, শতকরা ৬০/৭০ ভাগের বেশী রোগী খরচের ভয়ে হাসপাতালে যায়নি; আক্রান্ত সবাই যদি হাসপাতালে যেতো, কোন অবস্হায় হাসপাতালগুলো যায়গা দিতে পারতো না।
কিন্তু যারা হাসপাতালে যায়নি, যাদেরকে হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়নি, যারা অসুস্হ অবস্হায় বাড়ীতে ছিলো, তাদের থেকেই ডেংগু পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ যাবত মৃত্যুর সংখ্যানুযায়ী ডাক্তারদের মৃত্যুর অনুপাতটা আরেকটু সামান্য বেশী হলে হয়তো ভালো হতো, উনারা ভয় পেয়ে হলেও মাথাটাকাকে কাজে লাগাতেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৭