somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের উচিত রোহিংগা ক্যাম্পগুলোকে 'এনজিও-মুক্ত' করা

২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এনজিওগুলো ১১ লাখ রোহিংগা পালনকে 'পুরোপুরি রমরমা ব্যবসা' হিসেবে প্রতিষ্টিত করেছে, এরা এই ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করছে, এরা কৌশলে রোহিংগাদের ফিরে যাবার ব্যাপারে ভীত করে তুলছে, ফেরার আগেই বার্মার নাগরিকত্বের দাবীর ব্যাপারে কুপরামর্শ দিচ্ছে। এনজিও'র লোকেরা শতকরা ১০০ ভাগ অসৎ লোকজন; বাংলাদেশ সরকারের উচিত যথাশীঘ্রই রোহিংগা ক্যাম্পগুলোকে 'এনজিও-মুক্ত' করা। এনজিওরা যেই কাজগুলো করছে, সরকার রিফিউজী বিভাগের অধীনে কয়েক হাজার শিক্ষিত ছেলেমেয়েকে চাকুরী দিয়ে এই কাজগুলো করানো উচিত; এতে ৭০০০ হাজারের বেশী ছেলেমেয়ের চাকুরী হবে। এনজিওরা অনেক অনেক বেশী বেতন নেয়, অনেক বেশী বাড়তি মিথ্যা খরচ দেখায়ে বিশাল পরিমাণ চুরি করে; সরকারের লোকেরা আরো সঠিভাবে ক্যাম্প চালাতে পারবেন।

বেশীরভাগ এনজিও কর্মকর্তারা বয়স্ক, ও আগে সরকারী কর্মকরতা ছিলো, কিংবা ইউনিভার্সিটি, কলেজগুলোতে অসৎ শিক্ষক ছিলো; এরা সুযোগ সন্ধানী, এদের কাজ করার ক্ষমতা নেই।

এনজিও কর্মচারীদের ভেতরে সরকার-বিরোধী লোকজনও আছে; তারা চাইবে সরকারী প্ল্যানগুলো ফেইল করুক; এসব লোকদের ওখান থেকে বের করার উপায় হলো এনজিও'কে ওখানে কাজ করতে না দেয়া। এনজিও'কে ওখানে কাজ করতে না দিলে, কিছু বিদেশী প্রাইভেট এনজিও অনুদান কমবে; তবে, সেইসব অনুদান না হলেও চলবে; কারণ, সেইসব অনুদানের শতকরা ৮০ ভাগ এনজিও'র লোকেরাই নিয়ে যায়, এবং এসব অনুদান অন্য খাতেও প্রবাহিত করা হয়।

গতকাল সাড়ে ৩ হাজার রোহিংগা দেশে চলে যাবার কথা ছিলো, ১ জনও যায়নি; না যাওয়ার পেছনে ভয় কাজ করছে, এবং তাদের ভয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এনজিওগুলো। বেশ কিছু পরিমাণ রোহিংগা দেশে চলে যেতে চায়; কিন্তু বার্মা এদেরকে এক ধরণের ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাচ্ছে; বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে, গোহিংগাদের নিজগ্রামে ফেরত যাবার ব্যাপারে।

বাংলাদেশ সরকার, ইউএন রিফউজী সংস্হা বার্মার সাথে কাজ করার দরকার ছিলো, যেন পাশাপাশি ৩/৪ গ্রামের মানুষ এক সাথে নিজগ্রামে ফিরতে পারে, এবং সেখানে আগের থেকেই ইউএন রিফিউজী সংস্হার লোকেরা থাকে, ও বার্মার পছন্দ মতো যেকোন ৩য় দেশের লোকজন থাকে কমপক্ষে; এবং বার্মার পছন্দ মতো দেশের, ও কমপক্ষে কানাডা, সুইডেনের মিডিয়ার লোকেরা থাকে। এসবের ব্যবস্হা না হলে, রোহিংগারা ভয়ে যাবে না; কারণ, মগের মুল্লুকের সেনাদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই, এরা আসলেই মগের বাচ্চা।

অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে, রোহিংগারা ক্রমেই বর্তমান রিফিউজি জীবনকে মেনে নেবে, এবং এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে; পতিতা, ড্রাগ ব্যবসায় জড়িত হয়ে যাবে; এটা হতাশা ও অনিশ্চয়তা থেকেই ঘটবে। তদুপরি, বার্মার ভেতর যেই সামান্য পরিমাণ রোহিংগা আছে, তারাও ভালো কোন খবর দিচ্ছে না। চীনাদের দাপটে, স্হানীয় অশিক্ষিত রাখাইনরাও বর্তমানে বেশ ভুগছে, রাখাইনের পরিস্হিতি হতাশাজনক।

এনজিও'তে যারা কাজ করে, এগুলো অদক্ষ ও অসৎ, রোগিংগারা এদের সাথে থেকে আরো খারাপ হচ্ছে ও হতাশ হয়ে যাচ্ছে। রোহিংগাদের প্রতি পরিবারের সক্ষম ব্যক্তিদের কাজ দেয়ার দরকার; এতে প্রয়োজনীয় সম্পদ সৃষ্টি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৬
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×