ভোলায়, ফেইসবুকে নবী (স: )'কে গালি দেয়া হয়েছে; এই কাজ কি ফেইবুকের আইডির মালিক নিজে করেছে, নাকি হ্যাকার করেছে, সেটা আগামী ২/৪ দিনের মাঝে পুলিশের বিশেষজ্ঞ টিম ফেইসবুকের সঙ্গে আলোচনা করে, টেকনোলোজীক্যালী নির্ধারণ করবে; এবং সেই অনুসারে ব্যবস্হা নেয়া হবে; এটুকু ঠিক আছে, এটাই পদ্ধতি।
বাকী যেটুকু পদ্ধতির আগেই ঘটে গেছে: ৪ জনের মৃত্য, ১০০জন আহত, সেটার কি হবে? নবী(স: )'কে কোন একজন গালি দিয়েছে; কিন্তু মৃত ৪ জন নবী(স: )'কে গালি দেয়ার সম্ভাবনা মোটামুটি নেই; তা'হলে এই ৪ জনের প্রাণ কেন গেলো; ফাঁসি চাইতে গিয়ে নিজেরা প্রাণ হারালো?
ফেইসবুকের ঘটনা ঘটার পর, ৪ জনের মৃত্যুর আগে, কিংবা পরে ভোলায় "সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ" গঠিত হয়েছে; পরিষদের নেতারা সরকারের কাছে ৬ দফা দাবী দিয়েছে:
৬ দফা: (১) যেই ফেইসবুক আইডি থেকে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তার ফাঁসি কার্যকর (২) সংঘর্ষে নিহতদের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর; (৩) আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা; (৪) ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিনের ওসিকে প্রত্যাহার (৫) নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান (৬) গ্রেপ্তারদের বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়া।
দাবীগুলো মাঝে ২ নং দাবী: "সংঘর্ষে নিহতদের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর"; এটা দেশের আইনের সরাসরি অবমাননা; এই ধরণের দাবীর জন্য বিচার হওয়ার দরকার আছে।
এই দাবীগুলো সরকার মেনে নেয়া উচিত, নাকি "সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ"কে ৪ জনের মৃত্যু ও ১০০ জন আহতের জন্য দায়ী করে বিচার করা উচিত?
বাংলাদেশে ব্লাসফেমী আইন আছে; ফেইবুকের আইডির মালিক নিজে পুলিশের কাছে গেছে, ঘটনা পুলিশের হাতে; পুলিশের সামনে রহস্য ছিলো, আইডির মালিক কি সত্য বলছে, নাকি মিথ্যা বলছে, সেটা নির্ধারণ করে ব্যবস্হা নেয়া। এখানে ৩য় পক্ষ ( "সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ", কিংবা "তাওহিদী জনতা" ) কেন? আইন অনুসারে ৩য় পক্ষের কোন ভুমিকা থাকা উচিত কিনা?
পুলিশের হাতে চলে যাওয়া ঘটনা ব্লাসফেমী আইনে বিচার হবে কিনা, কিংবা পুলিশ বিনা বিচারে নবীর গালিদাতাকে ছেড়ে দিবে কিনা, সেটার দেখার দায়িত্ব কার, "সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ"এর, নাকি এটর্নি জেনারেলের অফিসের?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১