বেগম জিয়ার বেশ বয়স হয়েছে, এই বয়সে আত্মীয়স্বজন থেকে দুরে, জেলে বাস করা সহজ নয়, এটা বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়; এবং সেটার সমাধানও আছে; উনাকে উনার বাড়ীতে অন্তরীণ করে রাখা হোক; কিন্তু উনাকে ছাড়া হলে, ভয়ংকর অন্যায় হবে; উনিই আমাদের রাজনৈতিক যীশু, সব দুষ্ট ও বড় বড় অপরাধী বাংগালীদের হয়ে তিনি জেলে আছেন।
বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদেরও যে বিচার হয়, তিনি সেটার একমাত্র সিম্বল, আমরা ইহা হারাতে পারি না। উনার বয়স অনুসারে উনার রোগের পরিমাণ কম; কারণ, উনি সবচেয়ে ভালো খেয়েছেন, ভালো পরিবেশে থেকেছেন, সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা পেয়ে এসেছেন। এখনও উনি যেই চিকিৎসা পাচ্ছেন, দেশের সেরা শিক্ষকেরা, ডলার অর্জনকারী মেয়েরা বেহেশতে যাওয়ার পরও এত ভালো চিকিৎসা পাবেন না। যারা উনার রোগের কথা বলে গুজব ছড়াচ্ছে, এরা মিথ্যুক; গয়েশ্বর রায়, আমান উল্লাহ আমান, মেয়র খোকা, প্রফেসর এমাজুদ্দিন সাহেব, ড: মোশারফ জীবনে কখনো সত্য কথা বলছে বলে মনে হয় না; এসব ভাঁড়ের দল বলছে বেগম জিয়া অসুস্হ! উনি ৭৪ বয়স্ক গড় বাংগালী থেকে অনেক বেশী সুস্হ।
গ্রামের কৃষকের ৭৪ বছর বয়স্ক বউ, দেশের সুনাগরিক, জীবনে একখানা চশমা পাননি; জীবনে একজন গাইনীকে দেখাতে পারেননি, ১ জন নার্সের সেবা পাননি ১ দিনের জন্যও। বেগম জিয়ার জন্য শতশত ডাক্তার, শতশত নার্স কাজ করে যাচ্ছেন; অথচ, উনি একজন কয়েদী, অপরাধী।
গতকাল সন্ধ্যায়, এক জায়গায় আড্ডা দিচ্ছিলাম; এক ডাক্তার বেগম জিয়াকে 'মা' বলে সম্বোধন করলেন; আমার গায়ে যেন আগুন লেগে গেলো! আমি চুপ করে থেকে ভাবছিলাম, আমি হয়তো হিংসুক মানুষ, অন্যের কষ্ট দেখলে দু:খ পাই না। ব্লগার রাজীব নুর একপোষ্টে লিখেছেন, বস্তীর এক মহিলাকে জ্বীনে পেয়েছে, মাজারের এক লোক জ্বীন তাড়ানোর জন্য মহিলার আংগুলকে উল্টোদিকে চেপে ভাংগার চেষ্টা করছে, আর অনেক মানুষজন দাঁড়ায়ে উহা উপভোগ করছে; আমিও কি তাদের মতো? আমি ওদের মতো হিংসুক ও দয়ামায়াহীন হয়ে থাকলে, শেখ হাসিনা কেমন হিংসুক হতে পারেন? ভাবনার বিষয়! আমি বেগম জিয়ার ভালো চাই; কিন্তু উনাকে ছেড়ে দেয়া হোক তা চাইনা, উনি আমাদের রাজনীতিবিদদের মাঝে একমাত্র সিম্বল, যাঁর শাস্তি হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩