somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেগম জিয়াকে ছেড়ে দেয়ার কথা উঠলে, মনটা খারাপ হয়ে যায়

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বেগম জিয়ার বেশ বয়স হয়েছে, এই বয়সে আত্মীয়স্বজন থেকে দুরে, জেলে বাস করা সহজ নয়, এটা বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়; এবং সেটার সমাধানও আছে; উনাকে উনার বাড়ীতে অন্তরীণ করে রাখা হোক; কিন্তু উনাকে ছাড়া হলে, ভয়ংকর অন্যায় হবে; উনিই আমাদের রাজনৈতিক যীশু, সব দুষ্ট ও বড় বড় অপরাধী বাংগালীদের হয়ে তিনি জেলে আছেন।

বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদেরও যে বিচার হয়, তিনি সেটার একমাত্র সিম্বল, আমরা ইহা হারাতে পারি না। উনার বয়স অনুসারে উনার রোগের পরিমাণ কম; কারণ, উনি সবচেয়ে ভালো খেয়েছেন, ভালো পরিবেশে থেকেছেন, সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা পেয়ে এসেছেন। এখনও উনি যেই চিকিৎসা পাচ্ছেন, দেশের সেরা শিক্ষকেরা, ডলার অর্জনকারী মেয়েরা বেহেশতে যাওয়ার পরও এত ভালো চিকিৎসা পাবেন না। যারা উনার রোগের কথা বলে গুজব ছড়াচ্ছে, এরা মিথ্যুক; গয়েশ্বর রায়, আমান উল্লাহ আমান, মেয়র খোকা, প্রফেসর এমাজুদ্দিন সাহেব, ড: মোশারফ জীবনে কখনো সত্য কথা বলছে বলে মনে হয় না; এসব ভাঁড়ের দল বলছে বেগম জিয়া অসুস্হ! উনি ৭৪ বয়স্ক গড় বাংগালী থেকে অনেক বেশী সুস্হ।

গ্রামের কৃষকের ৭৪ বছর বয়স্ক বউ, দেশের সুনাগরিক, জীবনে একখানা চশমা পাননি; জীবনে একজন গাইনীকে দেখাতে পারেননি, ১ জন নার্সের সেবা পাননি ১ দিনের জন্যও। বেগম জিয়ার জন্য শতশত ডাক্তার, শতশত নার্স কাজ করে যাচ্ছেন; অথচ, উনি একজন কয়েদী, অপরাধী।

গতকাল সন্ধ্যায়, এক জায়গায় আড্ডা দিচ্ছিলাম; এক ডাক্তার বেগম জিয়াকে 'মা' বলে সম্বোধন করলেন; আমার গায়ে যেন আগুন লেগে গেলো! আমি চুপ করে থেকে ভাবছিলাম, আমি হয়তো হিংসুক মানুষ, অন্যের কষ্ট দেখলে দু:খ পাই না। ব্লগার রাজীব নুর একপোষ্টে লিখেছেন, বস্তীর এক মহিলাকে জ্বীনে পেয়েছে, মাজারের এক লোক জ্বীন তাড়ানোর জন্য মহিলার আংগুলকে উল্টোদিকে চেপে ভাংগার চেষ্টা করছে, আর অনেক মানুষজন দাঁড়ায়ে উহা উপভোগ করছে; আমিও কি তাদের মতো? আমি ওদের মতো হিংসুক ও দয়ামায়াহীন হয়ে থাকলে, শেখ হাসিনা কেমন হিংসুক হতে পারেন? ভাবনার বিষয়! আমি বেগম জিয়ার ভালো চাই; কিন্তু উনাকে ছেড়ে দেয়া হোক তা চাইনা, উনি আমাদের রাজনীতিবিদদের মাঝে একমাত্র সিম্বল, যাঁর শাস্তি হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×