সিডিসি হচ্ছে, আমেরিকান সংস্হা, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্টোল; ইহা ফেডারেল সরকারের সংস্হা যা পুরোদেশের মানুষের জন্য জাতীয় স্বাস্হ্যনীতি, ঔষধ উৎপাদনের প্ল্যান করে, রোগ কন্ট্রোল করে; আর, পেনডেমিক হচ্ছে, দেশ ব্যাপী, কিংবা বিশ্ব ব্যাপী কোন রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়া। আজকে সিডিসি বললো যে, বিশ্বে করোনা পেনডেমিক হবে, এবং ইহা আমেরিকায়ও সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সিডিসি'র এই ঘোষণার সাথে সাথে আমেরিকার ষ্টক-মার্কেট আজকেও প্রায় ১০০০ পয়েন্ট পড়ে গেছে; গতকাল মার্কেট হারায়েছে ১০০০+ পয়েন্ট। মাত্র ২ দিনে আমেরিকান ষ্টক-মার্কেট ২০০০ পয়েন্ট হারানোর ফলে, আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান ফাইন্যানসিয়াল জগত ভীত হয়ে যাবে; ফলাফল, ২০২১ সালের রিসেশন এখুনি শুরু হতে যাচ্ছে: অনেক সেক্টরে মানুষ চাকুরী হারাবে, কিংবা নতুন চাকুরী হবে না।
বাংলাদেশ, অষ্ট্রেলিয়া ও অনেকগুলো গরম দেশ কিছুটা ভালো পজিশনের দিকে যাচ্চিল; কিন্তু সিডিসির ঘোষণা শুনে আমি নিজেই কিছুটা কনফিউজড। মনে হচ্ছে, আমেরিকান সংস্হার কাছে কিছু ডাটা আছে, যার উপর নির্ভর করে তারা বলছে যে, করোনা ভাইরাস পেনডেমিক সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশে পাবলিক এলাকায় ভীড় কমানোর জন্য সব ধরণের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আগামী ২ সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখলে, রাস্তাঘাট ও একাডেমিক অংগন থেকে অনেকেই সুরক্ষিত থাকতে পারে। একই সময়, বিনা কাজে, শহরের মানুষকে বাজার, মল ও চা দোকান গুলোতে যেতে মানা করার দরকার।
আমেরিকাতে, আগামী ৪ সপ্তাহের মাঝে মানুষের উপর টিকা পরীক্ষা করে দেখা হবে; আমেরিকা ইতিমধ্যে চীনকে টিকার প্রথমিক ভার্সন দিয়েছে, ২ সপ্তাহের মাঝে চীনারা টিকার প্রাথমিক ফলাফল জানাবে।
৩য় বিশ্বের জন্য সমস্যা হবে, তারা এত টাকা খরচ করে আমেরিকান প্রাইভেট কোম্পানী থেকে টিকা কিনতে পারবে না; এসব দেশ যদি লাইসেন্স কিনে, নিজেরা প্রস্তুত করে, শুধু তখনি মানুষ টিকা পেতে পারে। শুধু দামের ব্যাপার নয়, বিশ্বের সবার জন্য টিকা প্রস্তুত করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২২