গত ৩ দিনে আমেরিকার ষ্টক-মার্কেটের 'ডাও-ইন্ডাষ্ট্রিয়েল' ইনডেক্স ৩২০০ পয়েন্ট (১৩%) পড়ে গেছে; এর সাথে সাথে ইউরোপের সব দেশে ষ্টক-মার্কেট গড়ে ১৫% পড়েছে; ইহার মুল্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। আজকে শুক্রবার সকালে (ভোর ৪:৫৬), 'ডাও-ইন্ডাষ্ট্রিয়েল ফিউচার' ৬০০ পয়েন্ট নীচে আছে, এবং ইউরোপের মার্কেটগুলো ৩% নীচে আছে। আজকের দিন এভাবে শেষ হলে, আরো ১.৫ ট্রিলিয়ন বাতাসে মিশে যাবে।
আজকে সকালে সিএনএন বললো, ১৪ দেশে নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে; ইহা ইউরোপে ও আমেরিকায় কিছুটা প্যানিকের সৃষ্টি করেছে। এদিকে ট্রাম্প নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টকে আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কন্ট্রোল করার দায়িত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যে, চীন মানুষকে কাজে যোগদান করার জন্য বলেছে। ইতালীর মিলানের লোকজন নিজের থেকে কাজে যাচ্ছে না, পশ্চিমা দেশগুলোতে এটি একটি সমস্যা, এরা সরকারের জন্য অপেক্ষা করে না।
করোনা ভাইরাস ব্যতিত, ক্যাপিটেলিষ্ট আমেরিকা আরেক আতংকে ভুগছে, সিনেটর বার্ণি সেন্ডার্স মোক্রেটদের প্রসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে; ওয়ালষ্ট্রিট এসব আমেরিকান সোস্যালিষ্টদের পছন্দ করে না। ডেমোক্রেটরা আশা করেছিলো, প্রসিডেন্ট ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার ট্রাম্পের সাথে প্রতিযোগীতায় নামবে; কিন্তু সেটার সম্ভাবনা কমে আসছে। আগামীকাল, সাউথ ক্যারোলিনায় প্রাইমারী; বাইডেন এখানে জয়ী হওয়ার কথা; যদি বাইডেন এখানে জয়ী না হয়, সে আউট হয়ে যাবে। আগামী ৩রা মার্চ, আমেরিকার 'সুপার টুইসডে প্রাইমারী', ইহাতে পরিস্কার হয়ে যাবে, সেন্ডার্স নাকি বাইডেন প্রার্থী হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ, পাকিস্ত্যান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, এবং এই ধরণের ৩য় বিশ্বের মানুষ সভ্যতার এই যুগে, যেই ধরণের নীচু মানের ও কষ্টকর জীবন যাপন করছে, তারা সমাধান হিসেবে সোস্যালিজমের কথা ভাবছে না; কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্যাপিটেলিষ্ট দেশ, আমেরিকায় বার্নি সেন্ডার্স (আধা ও বেকুব সোস্যালিষ্ট) অনেকটা প্রার্থী হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ইউরোপের ষ্টক-মার্কেট ও ফাইন্যানসিয়াল সিষ্টেম আমেরিকার সেন্টাল ব্যাংক ও ওয়াল ষ্ট্রীটকে অনুসরণ করে থাকে। তারা কিছুটা করোনার ভয়ে থাকলেও, আসলে তারা ওয়াল ষ্ট্রীটের দাস; কারণ, তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আমেরিকায় বিনিয়োগ করা আছে। আমেরিকা ২ কারণে কাঁপছে; আর, ইউরোপ অকারণে সেটার ভাগী হচ্ছে; আসলে, ইউরোপ সোস্যালিজমের ভয়ে ভীত হওয়ার কথা নয়, তারা সোস্যালিজম দেখেছে।
মার্কেট পড়ে যাওয়া নিয়ে ট্রাম্প কিছু বলছে না; মনে হয়, সে মানুষকে বুঝতে চাচ্ছে, মার্কেট পড়ছে সেন্ডার্সের কারণে; দেখ, সেন্ডার্স এখনো প্রার্থীই হয়নি, এতেই এই অবস্হা, সে প্রেসিডেন্ট হলে কি ঘটবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩