শেখ সাহেব জানতেন যে, উনার মেয়ে বুদ্ধিমতি নন, সেজন্য মেয়েকে রাজনীতিতে আসতে দেননি; কিন্তু রাইফেল জিয়া শেখ হাসিনার জন্য পথ রচনা করে গেছে। কমবুদ্ধিমানরা অনেক সময় খুবই নিবেদিত হয়ে থাকে, সেটাই ঘটেছে শেখ হাসিনার বেলায়। পিতা ও পরিবারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার ব্যাপারে উনি যে নিবেদিত, সেটা ইন্দিরা গান্ধী বুঝতে পেরে উনাকে ঘাতক-নির্মুলকারীর ট্রেনিং দিয়েছিলেন, উহা কাজ করেছে; কিন্তু টেবলেট বাংগালী জাতির পেটের ভেতর বসে আছে, উহা বের হবে না।
দেশে উনার ব্যুরোক্রেটরা, আদম বেপরীরা, উনার দলের লোকেরা হার্ড কারেন্সী আয় করে না; ইহা আয় করে তারা যাদেরকে উনার বাবা পড়াননি, উনি পড়াননি, রাইফেল জিয়া পড়ায়নি, শিয়াল এরশাদ পড়ায়নি, কেক জিয়া পড়ায়নি। ভারতের এই রকম মেয়েরা আজকে আমেরিকায় ব্যাংক অব আমেরিকা থেকে শুরু করে সবগুলো ইনভেষ্টমেন্টের কম্প্যুটিং করছে। আমাদের মেয়েরা, মুক্তিযোদ্ধার মেয়েরা, ১ রুমে ১০ জন থেকে আমেরিকার মেয়েদের জন্য কাপড় বানাচ্ছে।
এদের ছুটিটা তো তথকথিত প্রাইমি মিনিষ্টার নিজ হাতে রাখতে পারতো; টেলিভিশনে তাদেরকে জানাতে পারতো, কখন ঢাকায় আসতে হবে, কখন কাজ শুরু হবে।
গত ২ দিন পরিবারের সব টাকা খরচ করে, ঋণ করে ঢাকা এসেছে এসব মেয়েরা; কিন্তু প্রাইম মিনিষ্টার যে ছুটি বাড়াবে তাদের জানানো হয়নি। এখন ঢাকার বাসার মালিকেরা বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না; আবার বাড়ী যেতে হবে, টাকা নেই; গার্মেন্টস মালিকেরা বেতন দেয়নি। এখন মিলিটারী পাঠায়ে, বাসার মালিকদের বুটের নীচে ফেলে, শ্রমিকদেরকে বাসায় প্রবেশের ব্যবস্হা করার দরকার, সেটাও উনি করছেন না।
এই মেয়েগুলোর যত্ন নেয়ার দরকার ছিলো, এরা জীবন দিয়ে জাতির জন্য হার্ড কারেন্সী আনছে; এদেরকে কসাইদের অধীনে রেখে, বাসায় মোরগ-পোলাও রান্না করা ঠিক নয়।
এই মহিলা কোন গড় কাজও ঠিক মতো করতে পারে না, সেটাই শেখ সাহেব অগ্রিম বুঝেছিলেন; অবশ্য, শেখ সাহেব নিজেও তেমন বুদ্ধিমান ছিলেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৫