করোনার বর্তমান ষ্ট্যাটাস, সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে, আগামী দিনের কি প্ল্যান, করোনা নিয়ে সরকার কি কি সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে, দেশের অর্থনীতির কি অবস্হা, আনুমানিক কখন ইহা কন্ট্রোলে আসবে, টিকা নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টা, এসব বিষয় প্রতিদিনই মানুষকে জানানোর দরকার ছিলো; এতে, মানুষ বুঝতে পারতেন, শেখ হাসিনা ও উনার সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কোথায় কোথায় সরকারের ভুল আছে; মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্হা সম্পর্কে সরকার কতটুকু বুঝেন, জাতির এই দুর্দিনে মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার কতটুকু সহানুভুতি রয়েছে; সরকারের সামর্থ, প্রচেষ্টা ইত্যাদি জানলে মানুষের মাঝে সচেতনা, সাহাস ও আশা বাড়তো। শেখ হাসিনা বড় ধরণের সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছেন না।
বাংলাদেশের মানুষ কোন মন্ত্রী, কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কোনভাবে বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না; এই অবস্হায়, দলীয় বা সরকারের উঁচু পদের কেহ কথা বললে, মানুষ বরং বিভ্রান্ত হয়; কারণ, এদের প্রতি মানুষের কোন আস্হা আছে বলে মনে হয় না। দেশে যদিও শেখ হাসিনার প্রতিও মানুষের সমর্থন ক্রমেই কমে আসছে, তারপরও মানুষ উনার থেকে সরাসরি শুনতে চায়।
মানুষ কোনভাবেই সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না; মানুষ অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্হায় আছেন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে কথা বললে, মানুষ উনার মুখ থেকে শুনলে, সরকারের প্রকৃত অবস্হা বুঝে, মানুষ নিজেদের প্ল্যান প্রোগ্রামকে মিলায়ে নিতে পারতো। মানুষের পক্ষ থেকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে পারতেন, এতে উনার অবস্হান পরিস্কার হতো।
মহামারি, দুর্ভিক্ষ, প্রকৃতিক দুর্যোগে মানুষ সরকার প্রধানদের থেকে অভয়বানী ও আশ্বাস পেতে চান; এই রকম অনিশ্চয়তার সময় সাধারণ মানুষকে আশার বাণী শুনাতে হয়; সরকার নীরব থাকলে, দেশের মানুষের মাঝে হতাশ ছড়ায়ে পড়ে সহজে, এবং মানুষ সহজে বিবিধ গুজবের শিকার হয়।
এখনো সময় আছে, উনি যদি প্রতিদিন নিউজ ব্রিফিং শুরু করেন, মানুষের হতাশা অনেক কমে আসবে, উনার প্রতি আস্হা বাড়বে, মানুষ নতুন আশায় বুক বাঁধবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৩৬