somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনাকালীন সময়ে শেখ হাসিনার প্রতিদিন নিউজ ব্রিফিং করা উচিত

১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



করোনার বর্তমান ষ্ট্যাটাস, সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে, আগামী দিনের কি প্ল্যান, করোনা নিয়ে সরকার কি কি সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে, দেশের অর্থনীতির কি অবস্হা, আনুমানিক কখন ইহা কন্ট্রোলে আসবে, টিকা নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টা, এসব বিষয় প্রতিদিনই মানুষকে জানানোর দরকার ছিলো; এতে, মানুষ বুঝতে পারতেন, শেখ হাসিনা ও উনার সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কোথায় কোথায় সরকারের ভুল আছে; মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্হা সম্পর্কে সরকার কতটুকু বুঝেন, জাতির এই দুর্দিনে মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার কতটুকু সহানুভুতি রয়েছে; সরকারের সামর্থ, প্রচেষ্টা ইত্যাদি জানলে মানুষের মাঝে সচেতনা, সাহাস ও আশা বাড়তো। শেখ হাসিনা বড় ধরণের সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছেন না।

বাংলাদেশের মানুষ কোন মন্ত্রী, কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কোনভাবে বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না; এই অবস্হায়, দলীয় বা সরকারের উঁচু পদের কেহ কথা বললে, মানুষ বরং বিভ্রান্ত হয়; কারণ, এদের প্রতি মানুষের কোন আস্হা আছে বলে মনে হয় না। দেশে যদিও শেখ হাসিনার প্রতিও মানুষের সমর্থন ক্রমেই কমে আসছে, তারপরও মানুষ উনার থেকে সরাসরি শুনতে চায়।

মানুষ কোনভাবেই সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না; মানুষ অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্হায় আছেন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে কথা বললে, মানুষ উনার মুখ থেকে শুনলে, সরকারের প্রকৃত অবস্হা বুঝে, মানুষ নিজেদের প্ল্যান প্রোগ্রামকে মিলায়ে নিতে পারতো। মানুষের পক্ষ থেকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে পারতেন, এতে উনার অবস্হান পরিস্কার হতো।

মহামারি, দুর্ভিক্ষ, প্রকৃতিক দুর্যোগে মানুষ সরকার প্রধানদের থেকে অভয়বানী ও আশ্বাস পেতে চান; এই রকম অনিশ্চয়তার সময় সাধারণ মানুষকে আশার বাণী শুনাতে হয়; সরকার নীরব থাকলে, দেশের মানুষের মাঝে হতাশ ছড়ায়ে পড়ে সহজে, এবং মানুষ সহজে বিবিধ গুজবের শিকার হয়।

এখনো সময় আছে, উনি যদি প্রতিদিন নিউজ ব্রিফিং শুরু করেন, মানুষের হতাশা অনেক কমে আসবে, উনার প্রতি আস্হা বাড়বে, মানুষ নতুন আশায় বুক বাঁধবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:৩৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×