সমবায়ের উদ্দেশ্য অনুসারে ইহার ডেফিনেশন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম; আমেরিকায় সবচেয়ে বড় সমবায় হচ্ছে হাঊজিং'এ; ইহা ব্যতিত, কনজিউমার্স সমবায় আছে, এরা নিজেদের জন্য গ্রোসারী বা সুপার মার্কেট চালায়, কমদামে কিনাকাটা করে নিজেদের ব্যয় কমায়। আমেরিকা ক্যাপিটেলিষ্ট দেশ হওয়াতে ইহা সমবায়কে বেশী উৎসাহিত করে না; কিন্তু যেসব গরীব দেশ ধর্মীয় কিংবা অজ্ঞানতার কারণে সোস্যালিজমকে ভয় পায়, তাদের জন্য 'সমবায়' একটা বিশাল সমাধান হতে পারে।
তৃতীয় বিশ্বে সমবায়টা অনেকটা "প্রাইভেট কর্পোরেশনের" মতো; সাধারণত: ৩য় বিশ্বের প্রায় দেশ সমবায়ের জন্য কিছু মুলধন ঋণ হিসেবে আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক থেকে পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতিতে, ইহা বেকারত্ব কমাতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্তের কাছে এককভাবে ব্যবসা করার মতো ক্যাপিটেল নেই; আবার, ব্যাংকগুলো বিনা কোলেটারেল'এ নিম্ন মধ্যবিত্তকে ঋণ দেয় না; ফলে, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা ছোট শিল্পে, কিংবা বড় ধরণের কনজুমার্স ব্যবসায় যেতে পারেনা; বাংলাদেশে নতুন দোকান ও ছোট ব্যবসা শুরু করা বর্তমানে মোটামুটি অসম্ভব; আসলে, বেকারত্বের কারণে এই ধরণের ব্যবসা প্রয়োজনের চেয়ে বেশী।
বাংলাদেশের সমবায় আইন আমার জানা নেই; ব্লগার শংখচিল বললেন, উনি সমবায়ে দীর্ঘদিন বড় পদে ছিলেন, দেশী বিদেশী অভিজ্ঞতা আছে; এবং বর্তমানে একটি দুগ্ধ সমবায়ের বড় ধরণের কর্মকর্তা; আশাকরি, উনি পোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশের সমবায় নিয়ম কানুন ও সম্ভাবনা ব্যাখ্যা করবেন।
আপনাদের মাঝে কেহ কোন না কোনভাবে সমবায়ের সা্থে জড়িত থাকলে, বর্তমান সময়ের সমবায়গুলো কি রকম করছে, এই ব্যাপারে জানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯