শিরোনামটা আমার নিজের ষ্টেইটমেন্ট নয়, ইহা আমার পোষ্টে একজন ব্লগারের মন্তব্যের অংশ; ইহা ভুল ষ্টেইটমেন্ট; আসলে, সৃষ্টিকর্তা কোন অপরাধীর বিচার করেন না; যদি আল্লাহ অপরাধীর বিচার করতেন, "সমাজে কোন অবস্হায় এত অপরাধ থাকতো না, এবং একই অপরাধী বারবার অপরাধ করার সুযোগ পেতো না।"
সমাজে অপরাধ কমানোর জন্য বিচার ব্যবস্হা চালু আছে; যেই সমাজে অপরাধের পরিমাণ বেশী, এবং একই অপরাধী বারবার অপরাধ করে বেড়ায়, সেই সমাজে বিচার ব্যবস্হা বেঠিক, দুর্বল, অস্বচ্ছ, অথবা বিচার ব্যবস্হা নেই। আধুনিক রাষ্ট্রে বিচার ব্যবস্হা চলে রাষ্ট্রের আইন অনুসারে; ইহা বেশ কমপ্লেক্স সিষ্টেম। যেসব জাতির বিচার ব্যবস্হা উন্নত ও স্বচ্ছ, সেখানে অপরাধের পরিমাণ খুবই কম; সিংগাপুর, জাপান, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্হার সুনাম আছে।
বিশ্বের যেই অংশে ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয়েছে, এই অংশটা ইসলামের আগেও বেশ অনুন্নত ছিলো; অনুন্নত এলাকায় মানুষের জীবন সব সময় কষ্টকর হয়; অনুন্নত এলাকায় কোন কিছুই ঠিক মতো কাজ করে না, বিচার ব্যবস্হার অবস্হাও তাই হয়। রাজত্ন্ত্রের সময় সাধারণ মানুষের বিচার পাবার সম্ভাবনা ছিলো ক্ষীণ; ফলে, মানুষ মনোকষ্টকে লাঘব করতে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ করতো; সেই দিক থেকে অসহায়, অশিক্ষিত, দরিদ্র মুসলমানেরা বিচারের ভার আল্লাহকে দিয়ে থাকেন।
আমাদের দেশের "বসুন্ধরা কর্পোরেশ" মানুষের যায়গা, সরকারী যায়গা দখল করে চলছে ৩০/৩৫ বছর; আল্লাহ বিচার করলে ইহা থেমে যেতো; ইহা থামেনি, মানে আল্লাহ বিচার করছেন না। অসহায় লক্ষ লক্ষ মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, হাজার হাজার শিশু ভয়ংকর ঘাতকের হাতে প্রাণ হারায়েছে; ইহা কখনো বন্ধ হচ্ছে না; ইহাই প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ বিচারের দায়িত্বে নেই।
নোয়াখালীর রাফিকে পোড়ায়ে হত্যা করার পর, রাফীর শিক্ষক, মওলানার বিচার হয়েছে; মওলানা আসামী হিসেবে আদালতে নিজের পক্ষ অবলম্বন করেছে; সে তো দাবী করেনি যে, আল্লাহ বিচার করবেন, দেশের বিচার ব্যবস্হায় তার বিচার করা অন্যায়। সেই মওলানা যদি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতো যে, বিচারের দায়িত্ব আল্লাহপাকের, সে সেটা বলতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৫৩