*** এডমিনকে ধন্যবাদ, কমেন্ট করার ক্ষমতা ফিরে পেয়েছি; এখন ব্লগার নুরু সাহেব কাঁপতে থাকবেন।
এবারের জাতিসংজ্ঞের সাধারণ কাউন্সিলের সন্মেলন হচ্ছে 'ভার্চুয়েলী', দেশ-প্রধানদের রেকর্ডকরা বক্তব্য বাজিয়ে শোনানো হচ্ছে! ট্রাম্প বক্তব্য রাখেনি, সে বুঝতে পেরেছে কেহই শুনবে না; সে সামনাসামনি থাকলে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবাই মিথ্যা ব্যস্ততা দেখাতো, কিন্তু তার রেকর্ডকরা বক্তৃতা কেহ শোনার কথা নয়।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী উনার বক্তব্য রেখেছেন; ভ্যাকসিন নিয়ে মাতব্বরী বক্তব্য রেখেছেন অবশ্যই; তৈরি করবে পশ্চিম, ডিষ্ট্রিভিউশন হবে উনার মত-অনুযায়ী: উনি বলেছেন, "আশা করা হচ্ছে বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাবে। এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সকল দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময় মত এবং একইসঙ্গে পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।"
উনার দাবী, সকল দেশ যেন একই সাথে পায়! ট্রাম্প টিকা উন্নয়নে ১০ বিলিয়নের মতো ব্যয় করে ফেলেছে, টিকা যেন উহার ভোটের আগে অনুমোদন পায়; এবং ইহা নিয়ে কেলেংকারী চলছে; ভোটের আগে যদি টিকা আসে, আমেরিকানরা ধরে নিচ্ছে যে, উহা লাথি মেরে কাঁঠাল পাকানো হবে ভোটের জন্য, ট্রাম্পের মেয়েও সেই টিকা নিবে না নিশ্চয়ই; তবে, ওরা গোষ্ঠীশুদ্ধ ভাঁওতাবাজ, গ্লুকোজ ইনজেকশান নিয়ে বসে থাকবে টিকার নামে, হয়তো।
আগামী বছরের শুরুর দিকে যদি টিকা বের হয়, আমেরিকা ও ইউরোপের সাধারণ মানুষ টিকা পাবার সম্ভাবনা বছরের মাঝামাঝি; সেইদিক থেকে হিসেবে করলে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, সিরিয়া পাবে ২০২২ সালে।
উনার বক্তব্যে উনার বাবার ঐতিহাসিক বক্তব্যের কথা সব যায়গায় থাকে; শেখ সাহেব ১৯৭৪ সালে, জাতিসংজ্ঞের সাধারণ কাউন্সিলে বাংলায় বক্তব্য রেখেছিলেন, ততকালীন সময়ের জন্য ইহা বাংগালীদের কাছে ইমোশানেল'এর ব্যাপার ছিলো, হয়তো; এখন ইহা কোন ব্যাপার বলে বলে হয় না; কিন্তু উনি এই রেকর্ড বাজাতেই থাকেন, সময় ও স্হানের কথা উনার মনে থাকে বলে মনে হয় না।
এসব বক্তৃতার কোন মানে আছে বলে মনে হয় না; বাংলাদেশের কে কি বলছে, সেটা শোনার জন্য কেহ বসে নেই; বরং ইসরায়েল কি বলছে, সেটা অনেকই শোনেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯