ভারতের সাথে তিস্তার পানি বন্টন ও বন্যা কন্ট্রোল কোনভাবে হয়ে উঠছে না; ভারতের পানির দরকার, এতে সমস্যা নেই; ওদের প্রয়োজন আছে, বাংলাদেশেরও প্রয়োজন আছে, এই সহজ ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ২ দেশ মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে নদীকে কন্ট্রোল করলে পানির অভাব হবে না, এবং বন্যাও হবে না; ভারতে একা পানি আটকায়ে রাখাতে বন্যা হচ্ছে, বর্ষাকালে এত পানি তারা ধরে রাখতে পারবে না কখনো। কিন্তু ভারত নিজের কাজে ব্যস্ত আছে, বাংলাদেশের প্রয়োজন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।
বাংলাদেশ চীনাদের সাহায্য নিয়ে ১০০ কোটী ডলার খরচ করে, শুকনো মওসুমের জন্য পানি ধরে রাখার ও বন্যা নিয়ন্ত্রনের পরিকল্পনা নিচ্ছে! ইহা কি ভারতেকে ভয় লাগিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য চাপ দেয়া, নাকি আসলে, চীনাদের নিয়ে সমস্যা সমাধান করা?
যদি আসলে, নদীতে পানি ধরে রেখে চাষের জন্য পানির ব্যবহার ও বর্ষায় পানির দ্রুত প্রবাহ বজায় রেখে বন্যা থেকে ফসল ও মানুষকে রক্ষার প্ল্যান সরকার করতে চায়, উহাতে চীনাদের যোগ করার কোন দরকার নেই; চীনাদের যোগ করলে, টাকাটা চীনে চলে যাবে, ভারত রাগবে অকারণে, বাংগালী ইন্জিনিয়ারেরা বেকার বসে বসে ফেসবুকে ও সামুতে কবিতা লিখবে, তুরাগ নদীর তীরে এজতেমায় নেতৃত্ব দিতে থাকবে, ও দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে পরকালের জন্য তৈরি হতে থাকবে।
তিস্তার পানি ধরে রাখার ডিজাইন নাসার মতো কঠিন কিছু হবে না, এই রকম প্রকল্প সারা বিশ্বে অনেক আছে; নদীর কোন এক পারে, নদীর সাথে লম্বালম্বীভাবে জলাধার খনন করতে হবে; দেখতে হবে, নদীর সেই পার যেন ভাংগে না; ভারত সীমান্তের সাথেই নদীকে চওড়া করতে হবে, যাতে স্রোতের বেগ কমে যায়;।এবং শক্ত বাঁধ দিটে হবে। এগুলো করার জন্য চীন, জাপান, হল্যান্ড ও ডেনমার্ক থেকে ১ ডজন ইন্জিনিয়ার এনে, কয়েক'শ বাংগালী ইন্জিৈয়ার সমন্ময়ে ডিজাইন করে, বাংগালীরা নিজেরাই ইহা করতে পারবে; চীনাদের দিলে, তারা অকারণ আরেকটা চীনের দেয়াল গড়ে দেবে, টাকা নষ্ট হবে, ভারত ক্ষেপবে।
বাংগালীরা নিজে করলে অর্ধেকের কম টাকায় করতে পারবে, বাংগালী ইন্জিনিয়ার ও ইন্জিনিয়ারিং ফার্মগুলোর অভিজ্ঞতা হবে, টাকা পাবে; জাতি নিজ পায়ে দাঁড়ানোর সাহস পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯