বসনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সীমান্তের জংগলে প্রায় ২০০ বাংগালী ২ বছর বাস করছেন; এরা ক্রোয়েশিয়া ও শ্লোভেনিয়া অতিক্রম করে ইতালী, অষ্ট্রিয়া, ফ্রান্স, জার্মানী যাবার চেষ্টা করছেন; এছাড়া, জংগল থেকে অদুরে জাতিসংঘের একটি ক্যাম্পে আরো কিছু বাংগালী বাস করছেন; এরাও ইতালী, জার্মানী, ফ্রান্সে যাবার চেষ্টা করছেন।
ব্লগার হিসেবে, এদের নিয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?
এরা, এদের পরিবার গড়ে ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছেন; কিন্তু এরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না; এদের প্রায় সবাই ক্রোয়েশিয়া কিংবা বসনিয়ার পুলিশের হাতে মার খেয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন; ছবিতে কয়েকজনের নির্যাতনের চিহ্ন দেখায়েছে, ভয়ংকর; কারো কারো হাত-পা ভেংগে গেছে, কারো সারা শরীরে দাগ। এরা দেশে ফিরার কথা ভাবছেন না।
আপনারা কি মনে করেন যে, আমাদের সরকার এদেরকে সাহায্য করা উচিত; সরকারের উচিত এদেরকে দেশে নিয়ে আসা? সরকার কিন্তু এই ব্যাপারে কিছুই বলছে না। ইসরায়েলের ১ জন নাগরিক যদি আমেরিকায়ও বিপদে থাকে, তাকে তারা দরকারী পরিমাণ সাহায্য করে; সম্প্রতি, নিউইয়র্কে একজন হোমলেস ইহুদী দেখা গিয়েছিলো; স্হানীয় ইহুদীরা এই ইহুদীকে সাহায্য করেনি; কারণ, সে মানসিক রোগী ছিলো, সে স্হানীয়দের কথা শুনছিলো না; সেইক্ষেত্রে ইসরায়েলী কনস্যুলেট ব্যবস্হা গ্রহন করে, এখন সেই লোক হাসপাতেলে চিকিৎসা পাচ্ছে!
যেহেতু সরকার কিছু করছে না, কিছু বলছে না, দেশের মানুষের কি কিছু করা উচিত?
আমাদের এই লোকগুলো কিন্তু ভালো দেশে নেই; বসনিয়ায় বেকারের হার শতকরা ২১ জন। বসনিয়ার স্হানীয়রা চাচ্ছে, এদেরকে জংগল থেকে তাড়াতে ও জাতিসংঘের ক্যাম্প বন্ধ করে দিতে; বসনিয়ার জনসংখ্যার বড় অংশ হচ্ছে অটোম্যান যুগের তুর্কিরা ও তাদের সংমিশ্রণ। আমেরিকায়, বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, আলবেনিয়া, সারভিয়া, মারভিয়ার যত লোক আছে, তারা সবগুলো ক্রিমিনাল, ওদের ১৪ গোষ্ঠীসহ ক্রিমিনাল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পুর্ব পুরুষেরা এই এলাকার লোকজন।
আমাদের দেশের ভেতরে চাকুরী সৃষ্টির জন্য কোন মিনিষ্ট্রি নেই; গত ৫০ বছরে, কোন প্রাইম মিনিষ্টার, কোন প্রেসিডেন্ট দেশের মানুষের জন্য প্ল্যান অনুসারে চাকুরী সৃষ্টির পদক্ষেপ নেননি, বা এই নিয়ে একটা বাক্যও বলেননি। আজকে লাখ লাখ বাংগালী আদম বেপারীদের শিকার হয়ে, বে-আইনীভাবে সারা বিশ্বে ছড়ায়ে পড়েছে, চেষ্টা করছে নিজ পরিবারের জন্য আয় করতে।
বে-আইনীভাবে বিবিধ দেশে যেতে গিয়ে বাংগালীরা লিবিয়া, ইরাক, লেবাননের মতো ভয়ংকর দেশে যাচ্ছে; বসনিয়া, আফ্রিকা, মেক্সিকোর জংগলে বাস করছে; এদের আশা, এরা একদিন কিছু একটা করে, নিজেদের পরিবারকে সাহায্য করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০