জাতির গরীব অংশ পাকিস্তানী আমলে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারতেন না, আজকে তাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালন করতে পারেন না; ফলে, তাঁদের যে দেশ আছে, তাঁরা যে দেশের মুল্যবান নাগরিক, সেই অনুভবতা নেই; স্বাধীনতা কিন্তু এদের মতো লোকেরাই এনেছেন, সমাজে উঁচু শ্রেণীর লোকেরা মাছ ধরেছেন, পানিতে হাত লাগাননি। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই উঁচু শ্রেণীকে নিয়ে মেতে থাকেন, তাদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন, ওরাই বেশী বেশী খেয়ে সিংগপুরে গিয়ে চিকিৎসা করায়। শেখ হাসিনা আসলে স্বাধীনতা ও বিজয়ে মানুষের অবদান, মানুষের ত্যাগ, মানুষের ভুমিকা অনুধাবন করতে পারেননি, মানুষকে সম্পৃক্ত করার কথা কখনো ভাবেননি।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করেছেন নাকি? করতে না পারলে মন খারাপ করবেন না, এখন করোনার সময়, আগামীতে করতে পারবেন; বিজয় দিবসটাকে পালন করার জন্য মনস্হির করেন। আমরা করেছি, ১টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়ে সীমিত পরিসরে আমরা দিনটিক পালন করেছি; আজকে বিকেলে, ভার্চুয়েলী ৫০/৬০ টি পরিবার জুমের সাহায্যে আবার পালন করবো।
করোনার মাঝে সরকার ইহাকে সিম্বোলিকভাবে পালন করতে পারতো, সেটা না করে পুরোপুরিভাবেই পালন করেছে; কিন্তু সরকার একলাই করেছে, দেশের জনতাকে ইহাতে সম্পৃক্ত করেনি; বিদেশীদের নিয়ে নেচেগেয়ে বকবক করে, খেয়েদেয়ে কিছু একটা করেছে, মানুষ দর্শক।
মনে হয়, সরকারের সাথে ঘনিষ্ট ও ধনী পরিবারগুলো ভালো খেয়ে বা রেষ্টুরেন্টে খেয়ে ইহা পালন করেছে; কিন্তু উহাতে জাতীর জন্য ভাবনাচিন্তা ছিলো না, জাতির ভবিষ্যত নিয়ে কোন চিন্তা ছিলো না, ১৯৭১ সালের সেই স্বাধীনতার জেনারেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ছিলো না, মনে হয়; ইহা জাতির ধনী ও সরকারের সাথে যুক্তদের স্বভাব চরিত্র থেকে অনুমান করছি।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের জেনারেশনের অবদান, ত্যাগ, কষ্ট, আনন্দ, বুঝেন বলে মনে হয় না; ফলে, এই বিরাট মহুর্তটিতে তিনি দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবেনি; আমি অনুষ্ঠান দেখিনি; আমার স্ত্রী দেখতে ছিলেন, আমার ইচ্ছা হয়নি দেখতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১২