ভারত কয়েকভাবে লাভবান হয়েছে অবশ্যই, এবং ইহা অনেক বেকুব বাংগালীর জন্য বিশাল মনোকষ্টের কারণ হয়ে গেছে। ভারতকে এই লাভটুকু থেকে বন্চিত করার একটা উপায় আছে, আমরা আবার পাকিস্তানে যোগ দেয়া; তা'হলে, যাদের মনে অনেক কষ্ট, তারা পশ্চিম পাকিস্তানের ভাইদের সাথে যোগ দিয়ে ভারতকে আগের মতো মতো শায়েস্তা করতে পারতেন।
আমরা আমাদের স্বাধীনতাটুকু পেলেই হতো, কিন্তু ভারত কেন লাভবান হলো? আমাদের বাড়া ভাতে রাস্তার বালি। পাকিস্তানীরা অনেকটা সামরিক জাতি; সেই কারণে, ১৯৫৮ সাল থেকে মিলিটারী যে, তাদের কাঁধে বসেছে, এখনো আছে; আসলে, প্রত্যেক পাকিস্তানী নাগরিক মিলিটারীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতায় চায়, তাদের ধারণা, মিলিটারী এইভাবে না'থাকলে ভারত কাশ্মীর হজম করে ফেলবে।
বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ মানুষ পাকিস্তানী মনোভাবের, এই কারণেই জেনারেল জিয়া এখনও বীর, এরশাদ এখনো বন্ধু, ২ জনের ২টি বিরাট দল এখনো আছে। ১৯৬২ সালে, বার্মায় যখন মিলিটারী ক্ষমতায় এসেছিলো, তারা ছিলো বিপুল পপুলার, ওরা জিয়া থেকেও পুপুলার ছিলো; এখন মিলিটারী দ্বারা মগেরা বিশালভাবে উপকৃত হচ্ছে, গত ২ মাসে ৫০০ নিহত, ২০০০ পংগু, বিমান থেকেও গুলি করছে দেশের মানুষের উপর।
বার্মায় মিলিটারী থাকায় আমরাও উপকৃত হয়েছি, ১২লাখ মানুষ উপহার পেয়েছি; রাশিয়ানরা ও জাপানীরা লোক সংখ্যা বাড়াতে পারছে না; মনে হয়, জিংজিং কমে গেছে! আমাদের লোকজন হযরত আদমের মতো তৈরি করা মানুষ পেয়ে গেছেন এক সাথে ১২ লাখ, জিংজিং'এর দরকার হয়নি।
ভারতের ২পাশে পাকিস্তান থাকায়, এবং পাকিস্তানের মিলিটারী সরকার যুদ্ধবাজ হওয়ায়ভারতের জন্য ততকালীন সময়ে ইহা একটা সামরিক সমস্যা ছিলো; আজকে যদি পুর্ব পাকিস্তান থাকতো,এবং ভারত সামরিক দিক থেকে যেভাবে শক্ত, ইহা এখন সমস্যা হিসেবে গণ্য হতো না; ভারতের জন্য পাকিস্তান এখন আর সামরিক সমস্যা নয়, এখন চীনই সমস্যা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় পাকিস্তান ভারতের কাছেও পরাজিত হয়েছে; এতে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ খুবই উপকৃত হয়েছিলো, অকারণ যুদ্ধে আর যায়নি পাকিস্তানী বাহিনী; ভারত সেটাই চেয়েছিলো। বাংলাদেশের বেকুবেরা ভারতের লাভ নিয়ে কান্নাকাটি করে থাকে, ইহা বন্ধ হবে না; কিন্তু ব্লগারেরা ইহাতে যোগ দিয়ে নিজকে বেকুব বানানোটা ভালো দেখায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৫