ধর্মকে যারা পেশা হিসেবে নেয়, যারা ইহাকে রাজনীতিতে ব্যবহার করে, এদের বড় অংশ ভুয়া মানুষ, এরা বড় বড় ক্রাইমের সাথে যুক্ত থাকে।
আমেরিকা ও ইউরোপের সবচেয়ে বড়, এমন কি বিশ্বের সবচেয়ে বড় "ক্লাশ-এ্যাকশন" মামলা হয়েছে চার্চের ধর্ম-যাজকদের বিপক্ষে, এরা চার্চের ধর্মীয় শিক্ষার সাথে যুক্ত ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে সেক্স করেছে; বিলিয়ন ডলারের বেশী ক্ষতিপুরণ দিয়েছে চার্চগুলো, শতশত ফাদারের জেল হয়েছে, অনেককে বয়সের কারণে জেলে নেয়া হয়নি!
ইউরোপ আমেরিকার এসব ক্রিমিমিনালরা দোষটা "শয়তানের" উপর চাপিয়ে দিয়ে সহজে পার পেতে চেষ্টা করেছিলো; ইউরোপের ও আমেরিকার ধর্মিকরা "শয়তান" নামের চরিত্রকে চার্চের ভেতরে বিশ্বাস করে, কোর্টে ও সমাজে উহাকে বিশ্বাস করে না; শয়তানের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে ১জনও মুক্তি পায়নি।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের এতিমখানা ও মাদ্রাসায় কি ঘটেছে ও কি ঘটছে? ইহা ইউরোপ ও আমেরিকার থেকে ৫/১০ হাজার গুণ বেশী ঘটেছে; কিন্তু কোনদিন বিচার হয়নি, যখনি ধরা পড়েছে, বলা হয়েছে, "শয়তানের" কুমন্ত্রনায় ইহা ঘটেছে, শয়তান দোষী হয়েছে; এদের বিচার হয়নি কোনদিন; ধর্মই শয়তানকে আবিস্কার করেছে।
মামুনুল হকের পক্ষে ২টি পোষ্ট এসেছিলো ব্লগে, বিপক্ষে এসেছিলো ৮/৯ টি; হোটেলে যত লোকজন মামুনুল হককে আটকায়ে ছিলো, তার থেকে অনেক বেশী লোক এসেছিলো ওকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য। আজকে হেফাজতের ১জন লোকও স্বীকার করবে না যে, মামুনুল হক ক্রাইম করেছে। তবে, তাকে হেফাজতের ভিতরে ইহার জন্য মাফ চাইতে হবে, এবং হেফাজতের সব নেতারা "শয়তানকে" ইহার জন্য দোষী করে মামুনুল হক যাতে "সঠিক পথে" চলে আল্লাহের দ্বীন মানুষের কাছে পৌঁছায়ে দিতে পারে সেটার জন্য দোয়া করবে; এসব ভুয়ারা ধর্মের কথা বলতে থাকবে, শয়তানের কথা বলতে থাকবে, ক্রাইমের বিচার কোনদিনও হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৪