বাংলাদেশ সরকার তার অলস রিজার্ভ থেকে শ্রীলংকাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে; ঋণের সুদ ৩% হওয়ার কথা; শ্রীলংকা এই ঋণ ফেরত দিবে শ্রীলংকান মুদ্রায়; ব্যবসায়িক দিক থেকে দেখলে, ইহা ভালো ব্যবসা নয়। যদি বাংলাদেশ সরকারের ফাইন্যানসিয়াল বুদ্ধিমত্তা হিসেবে ইহাকে বিচার করা হয়, ইহা আসলে দেশবাসীর প্রতি অন্যায়ের একটি উদাহরণ মাত্র।
**দেশের কোন নাগরিক আমাদের সরকার থেকে ৩% হারে ব্যবসায়িক, শিক্ষা বা পরিবারিক বিপর্যয়ের কারণে জরুরী ঋণ পাবে? কখনো পাবে না।
শ্রীলংকা চীন থেকে ঋণ নিয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশী; খুব শীঘ্রই শ্রীলংকাকে কোন ব্যাপারে বৈদেশিক মুদ্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার পে করতে হবে, কিন্তু তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ মার্চ মাসে ছিলো ৪ মিলিয়ন ডলার মাত্র; ইহা শ্রীলংকার জন্য বেশ বড় ধরণের সংকট। এই সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য তারা চীন ও ভারতের কাছে ২০০ মিলিয়ন বা তারো বেশী ঋণ চেয়েছিলো, এই ২ দেশ দেয়নি, দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স পদ্ধতি দেখলে বুঝা যাবে যে, বাংলাদেশ দরকারী খাতে খরচ না করে, "অলস রিজার্ভ" বাড়িয়ে চলছে; এখন বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার। দেশের বর্তমান আমদানী ও রপ্তানীর পরিমাণ থেকে বুঝা যায় যে, দেশটি ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখলেই যথেষ্ট; বাকী ১৫বিলিয়ন ডলার "পুরোপুরি অলস"; বর্তমান বিশ্বে অলস টাকার উপর বসে থাকাটা বুদ্ধিহীনতার পরিচয়, বিশেষ করে দেশের বেকার সমস্যা যখন কন্ট্রোলের বাহিরে।
বাংলাদেশের তরুণরা বেকার, রিটায়ারীদের আয় নেই, বাবারা প্রবাসী; এই অবস্হায় বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের দরকার; সেই দেশ কি করে এত টাকা শ্রীলংকার মতো দেশকে ঋণ দিতে পারে? ইহা বেকুবী ব্যতিত অন্য কিছু নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:১৫