ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট, রুভেন রিভলিন দেশটির ২য় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, ইয়েশ আতিড'এর নেতা, ইয়াইর ল্যাপিডকে সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছে; ইয়াইর ল্যাপিড যদি সফল হয়, এই সপ্তাহে নাতানিয়াহু দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রীর পদটি চলে যাবে, সে ২টি মামলা কাঁধে নিয়ে কোর্টে যাবে; তার বিরুদ্ধে ২টি দুর্নীতির মামলা দীর্ঘদিন ঝুলে আছে।
গত মার্চ মাসে ইসরায়েলের ভোট হয়েছিলো, কোন দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি; বেশী ভোট পেয়েছে নাতিনিয়াহু'র দল, কিন্ত সরকার গঠনের জন্য কোয়ালিশন গঠন করতে পারেনি। ইসরায়েলের পার্মামেন্ট "Knesset" নামে পরিচিত, উহাতে ১২০টি সীট আছে।
এখনো ইসরেয়েলের শতকরা ৪৫ ভাগ মানুষ মনে করে যে, ফিলিস্তিনীদের ভুমি তাদের দিয়ে, তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হোক; তারা চেষ্টা করে দেখুক ভালো থাকতে পারে কিনা! শতকরা ৬০ ভাগ ইসরায়েলী বিশ্বাস করে যে, হামাস রাজনীতিতে থাকাকালীন ওদেরকে ভুমি দেয়া যাবে না; ভুমি দিলে হিজবুল্লাহ ও ইরানের সাহায্যপুষ্ট শিয়া মিলিশয়ারা ফিলিস্তিনে স্হায়ীভাবে বাসা বাঁধবে; এই ৬০ ভাগের মুখপাত্র ছিলো নাতানিয়াহু, সে ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে আজ অবধি আছে; মনে হয়, তার সময় শেষ হয়ে এসেছে, নতুন একজন আসবে, তাকে চেংগিস খানের সাথে তুলনা করা যায়।
ল্যাপিডের দল ২য় স্হানে আছ, এখন সে কোয়ালিশন গঠনের চেষ্টা করবে, তার হাতে ২৮ দিন সময় আছে। যদি সে সফল না হয়, দেশটিকে আবারো ভোটে যেতে হবে; ২ বছরে ৫ বার ভোট হয়েছে, কিছুতেই কোন দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাচ্ছে না, কোয়ালিশনও টিকছে না। অবশ্য, নাতানিয়াহু বসে নেই, সে নতুন প্রস্তাব নিয়ে অন্য দলগুলোকে কোয়ালিশনে আনতে চাচ্ছে; তার নিজের দল লিকুদ তার কারণেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে; লিকুদকে এক সময় চরমপন্হি দল মনে করা হতো, এখন লিকুদ থেকে চরমপন্হি দলের আবির্ভাব ঘটেছে ইসরায়েলে।
ইয়াইর ল্যাপিড চেংগিস খান নন, তিনি মোটামুটি মডারেট; কোয়ালিশন সফল করতে হতে হলে, তাকে একটি ধর্মীয় দলকে কোয়ালিশনে নিতে হবে, উহার নাম "ইয়ামিনা পার্টি"; এই দলের নেতার নাম নাফতালী বেনেট, ইহাই ইসরায়েলের চেংগিস খান; ইহা বিশ্বাস করে যে, সিনাই থেকে গোলান অবধি যায়গা স্বয়ং আল্লাহ ইহুদীদের দিয়েছেন, এখানে অন্য কোন জাতি থাকতে পারবে না; ফিলিস্তিনীদের যায়গা সিরিয়া, মিশর ও জর্দানে। তিনি ইসরায়েলের ১.৩ মিলিয়ন মুসলিম নাগরিকদের ইসরায়েল থেকে বের করে দেয়ার পক্ষে। উনার দাবী, কোয়ালিশন সরকার গঠন হলে, তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিতে হবে, ইহা স্বয়ং আল্লাহের ইচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১২