আপনারা দেখেছেন, শেখ হাসিনার সরকার জাতীর রিজার্ভ থেকে শ্রীলংকাকে অলস ডলার ঋণ দিচ্ছে, ফেরত পাবে শ্রীলংকার মু্দ্রা, রুপিতে (১ ডলার = ২০০ রুপি); ইহা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আমাদের রিজার্ভে "অলস ডলার" পড়ে আছে, এবং ইহা থেকে ঋণ দেয়া সম্ভব!
ঋণ কাকে দেবে, শ্ররিলংকা, মালদ্বীপ, বেক্সিমকো, আলম ব্রাদার্সদের, নাকি দেশের শিক্ষিত বেকারদের, যারা নিজেদের জন্য ও অন্যদের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করতে পারবে?
সেটা সরকারের ও প্রশাসনের ইচ্ছা? তা মোটেই নয়, ইহা সরকার ও প্রশাসনের ইচ্ছা হতে পারে না, ইহা হতে হবে জাতির ইচ্ছানুসারে। বাংলাদেশের মতো দেশ, যেই দেশের বাজেটে এখনো বিদেশী সাহায্যকে ফান্ড হিসেবে ধরা হয়, সেই দেশ ইচ্ছা করলে, জাতির বাহিরে অন্য কোন দেশ বা সংস্হাকে জাতির মতামত না নিয়ে ঋণ দেয়া অন্যায়, বিশেষ করে আজকের মতো ভয়নাক অর্থনৈতিক ও ফাইন্যান্সিয়াল পরিবেশে।
আমাদের জাতীয় হার্ড-কারেন্সীর রিজার্ভের পরিমাণ বর্তমানে ৪৫ বিলিয়ন ডলার; ইহা জাতীয় সন্চয়; শেখ হাসিনার সরকার ইহা গড়ে তুলছে; ইহা বেশ বড় ধরণের অর্থনৈতিক ও ফাইন্যান্সিয়াল সিদ্ধান্তের ফলাফল। অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের মাঝে কোথায়ও ১টা যক্ষ আছে, যা এই অকারণ সন্চয়টা বাড়ায়ে উহাকে "অলস ডলারে" পরিণত করছে; বাকী আছে শুধু ইহাকে স্বর্ণে পরিণত করে মাটির নীচে কিংবা বড় দীঘির পানির নীচে লুকিয়ে রাখা।
হার্ড-কারেন্সীর বাইরে, আমাদের নিজের টাকায়, জাতির সন্চয় কি পরিমাণ? মাইনাস, অনেক মাইনাস, ৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো মাইনাস। আমাদের জাতীয় ঋণ হচ্ছে ৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি, এবং ইহার উপর বার্ষিক সুদ হচ্ছে কমপক্ষে ৮০০/৯০০ মিলিন ডলার। এই সুদ (সাথে সামান্য আসলও ফেরত দেয়ার কথা ) দেয়ার কথা সেই সব প্রজেক্ট থেকে, যেসব "প্রজেক্টের বিপরিতে" ঋণ নেয়া হয়েছে; যেমন রেলওয়ার জন্য নেয়া ঋণের সুদ-আসল আসা উচিত রেলওয়ে থেকে, হাইওয়ের জন্য নেয়া টাকার সুদ-আসল আসা উচিত টোল ইত্যাদি থেকে; এগুলো এভাবে আসে বলে মনে হয়? আপনি মনে করেন অর্থমন্ত্রী জানে কিসের জন্য কত ডলার নিয়েছিলো? ওরা সুদ-আসল শোধ করে বাজেটের টাকা থেকে, ইহা বেকুব চাষীর মতো অর্থনীতিবিদের কাজ।
১৫ বিলিয়ন ডলার অলস পড়ে আছে, যক্ষের মতো ইহার উপর বসে না থেকে, ইহাকে বেকারত্ব দুর করার জন্য শিক্ষিত প্রফেশানেলদের "পিপিপি ধরণের" পরিকল্পনার মাধ্যমে ঋণ দেয়া দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২১ রাত ২:৩২