৩য় বিশ্বে সরকারী বাজেটের মুল নীতি হওয়া উচিত, আগামী ১ বছর বা তার চেয়ে বেশী সময়ের জন্য, দেশের প্রতিটি পরিবার আয়-ব্যয়ের যেই বাজেট করছে, উহাকে কার্যকরী করতে সাহায্য করা।
জাতির আয় আছে, সেই আয় থেকে সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন-ভাতা দিতে হবে, সরকারী স্হাপনা ইত্যাদির জন্য টাকা ব্যয় করতে হবে; আয়ের বাকী অংশ দিয়ে নাগরিকদের বাজেটকে কার্যকরী করতে হবে।
আগামী ১ বছরে আমাদের জাতীয় আয় কতটুকু হওয়ার সম্ভাবনা? সরকার অনুমান করছে উহার পরিমাণ হবে, ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা৷; সরকার আগামী ১ বছরে কত টাকা খরচ করবে? আমাদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলছেন, তিনি ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা খরচ করবেন।
মন্ত্রী আয়ের চেয়ে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা বেশী খরচ করতে চান; এই টাকা উনাকে কে দেবে? উনি বিদেশ ও দেশী ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন? উনার নেয়া ঋণ পরিশোধ করবে কে? জাতির নামে ঋন করে উনি সেই টাকা জাতির জন্য খরচ করবেন বলে নিশচয়তা কে দেবে? উনি কি সেই রকম বিশ্বাসযোগ্য ও দক্ষ মানুষ?
আয় কম, ব্যয় বেশী? ইহা কিসের বাজেট, ইহা কিসের মিনিষ্টার? ইনি যেই পরিমাণ ব্যয় করতে চাচ্ছেন, সেই পরিমাণ আয় করতে জানেন না, এই ধরণের কাজ করা কি বুদ্ধিমানের কাজ? আপনার পরিবারে ইহা সম্ভব? আপনার পরিবারে যদি ইহা সম্ভব না'হয়, আমাদের সন্মিলিত পরিবারে ইহা কিভাবে সম্ভব? ইহা কাজের লোক নন, ইহাকে চাকুরীচ্যুত করার দরকার।
আপনার বাবা যদি কেরানীর চাকুরী করে বেক্সিমকোর মালিকের মতো ব্যয় করে, আপনার পরিবারের অবস্হা কি হবে? আপনার বাবা যদি বছরের পর বছর টাকা ঋণ নেন, আপনাদের পরিবারের অবস্হা কি হবে? এগুলো কি মন্ত্রী, নাকি রাখাল বালক? মুহিত সাহেব ২০ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ করে গেছেন, এখন উনি কি উহা নিয়ে চিন্তিত? উনি তো ভালো খাচ্ছেন, ভালো থাকছেন, দেশের মানুষের কি অবস্হা?
শেখ হাসিনার উচিত হবে না, এই ধরণের বাজেট করতে দেয়া; উনার উচিত হবে, আমাদের আয়ের মাঝে সরকারী বাজেট সীমাবদ্ধ রাখা; বাজেট যদি আয়ের থেকে বড় করতে হয়, সেটা নাগরিকদের থেকে ঋন নিয়ে করার কথা ভাবতে পারেন; বিদেশী ঋন ও দেশের ব্যাংক থেকে ঋন নেয়া টাকা সব সময় চুরি হয়ে যায়। মন্ত্রী যেই পরিমাণ টাকা খরচ করার কথা বলছেন, যত পরিকল্পনার কথা বলছেন, এত কাজ করার মতো জনবল সরকারের নেই। সুতরাং, এইভাবে জাতির বিনা অনুমতিতে ঋণ নিয়ে উহার অপব্যবহার করা ভয়ংকর খারাপ কাজ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ৮:১০