ইসরায়েলকে গুটিয়ে অন্য কোথায় নেয়া সম্ভব? নিতে পারলে ভালো হতো হয়তো; শুধু যে ফিলিস্তিনীরা ভুগছে তাই নয়, অনেক ইসরায়েলী নাগরিক কিন্তু সুযোগ মতো আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানীতে পালিয়ে যাচ্ছে, অনেকই এই অশান্তির মাঝে থাকতে পারছে না।
কিন্তু ইসারায়েলকে সরিয়ে অন্য কোথায়ও নেয়া সম্ভব নয়; বিশ্ব জনমত এই ধরণের আইডিয়ার পক্ষে যাবে না; বিশ্বের যেসব জাতি ইহুদী জাতিকে পছন্দ করে না, তারাও ইসরায়েলকে গুটানোর পক্ষে যাবে না; তারা চায়, ফিলিস্তিনরা তাদের ভুমি ফিরে পাক, একটি সুস্হ জাতি হিসেবে ইসরায়েলের সাথে ভালো প্রতিবেশী হিসেবে বাস করুক।
ইসারেয়েলের জন্মটা ফিলিস্তিনীরা সহজভাবে নেয়নি, সহজভাবে নিতে পারলে এই সমস্যাটার সৃষ্টিই হতো না; ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের অনেক জাতি নিজেদের জন্য স্বাধীন দেশ পাবার জন্য সংগঠিত হতে থাকে; ইহা কাজ করেছে, অনেক জাতি নিজদিগকে স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছে। বিশ্বে ছড়ানো ছিটানো ইহুদী জাতিও চেষ্টর শুরু করেছিলো ১ম বিশ্বযু্দ্ধের আগেই, এবং ততকালীন সময়ের জন্য ইহা স্বাভাবিক বাসনা ছিলো। সাথে সাথে ততকালীন বিশ্ব রাজনীতি: রাজতন্ত্রের পতন, কলোনিয়েল সিষ্টেমের বিপক্ষে মানুষের অবস্হান, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ, ইংরেজদের কলোনিয়েল সিষ্টেমকে গুটায়ে আনার সিদ্ধান্ত, ইসরায়েলের সৃষ্টির পক্ষে ছিলো।
ঐতিহাসিক কারণ ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের ফলে বিশ্বের ভু-রাজনীতিতে পরিবর্তন আসে; ২য় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদী হত্যা, ইহুদীদের প্রতি বিশ্বের সহানুভুতি বেড়ে যায়; উহার অংশ হিসেবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়; যেদিন ইসরায়েলের জন্ম হয়, সেদিন জাতিসংঘে আরো একটি রাষ্ট্রের জন্ম হওয়ার কথা ছিলো; সেই দেশটির জন্মকে ইসরায়েল বা অন্য কোন দেশ বাধা দেয়নি, মালিকেরা জাতি সংঘে উপস্হিত থেকে সেই দেশটাকে বুঝে নেয়নি; যাদের জন্য রাষ্ট্র সৃষ্টি করার কথা তাদের প্রতিনিধি জাতিসংঘে উপস্হিত ছিলো না, ও জাটিসংঘকে নোটিশ দিয়েছিলো যে, তাদের দেশ তারা যুদ্ধ করে সৃষ্টি করবে; তারা নিজেদের জন্য দেশ না নেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখায়ে ছিলো যে, ফিলিস্তিন ভুমিতে ১টি মাত্র দেশ হবে, উহা হবে ফিলিস্তিন, সেখানে ২য় রাষ্ট্র হতে পারবে না।
যুদ্ধ তারা শুরু করেছিলো, ১৯৪৮ সালের ১৫ই মে সকালে; ৫টি আরব দেশের সৈন্যরা পুরো ফিলিস্তিন ভুমি দখলে রাখার জন্য যুদ্ধ করে; তারা যদি সেই যুদ্ধে যায়গাটার পুরো দখল নিতে পারতো, আজকের ইতিহাস হয়তো অন্য রকম হতো; কিন্তু যায়গাটা তারা দখল করতে পারেনি; ৭ দিনের যুদ্ধে আরব বাহিনী পরাজিত হয়; পরাজিত হয়ে তারা ফিলিস্তিন হারায়েছিলো; এটাকে সঠিকভাবে বুঝে, বর্তমান স্বাধীনফিলিস্তিনকে দেশে পরিণত করার প্রসেসটাকে কার্যকরী করার মতো ফিলিস্তিনী নেতা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫২