বাংলাদেশে চাকুরীর অভাব আছে, টোকাইদের থাকার যায়গার অভাব আছে, গার্মেন্টেস'এর মেয়েদের থাকার যায়গার অভাব আছে, রাস্তায় সংসারী মা'দের ঘুমানোর, বার্থরুমের ও গোসলের যায়গার অভাব আছে; কিন্তু মসজিদের অভাব কোনদিনও ছিলো না, এবং নেই। আমাদের ছোট গ্রামটিতে একটি মসজিদ ছিলো বরাবরই, এখন সেখানে ৩টি মসজিদ; গ্রামে পুরুষ বলতে কেহ নেই, সবাই থাকে মিডল-ইষ্টে, নামাজ পড়বে কে? গ্রামের পুরানো মসজিদটাতে আযান দেয়ার লোকও নেই, সেই বাড়ীর মানুষ এখন শহরে থাকে।
বাংলাদেশে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করছে সরকার; এগুলোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়ায় সরকারী টাকায় মসজিদ করতে হয়েছে কখনো? দানের টাকায় মসজিদ হয়ে আসছে সব সময়; এখন আবার, সৌদী, ইরানী, কুয়েত ও কাতারের টাকায় গ্রামে গ্রামে মসজিদ হচ্ছে। এই অবস্হায় সরকার ৮ হাজার ৭২২ কোটী টাকা ব্যয় করা কি সঠিক কাজ?
মানুষের টাকায় সরকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সঠিকভাবে টিকা কিনেনি; কিন্তু পুরোপুরি বিনা প্রয়োজনে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করে মসজিদ করছে, যেখানে নামাজ পড়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই টাকায় ১ লাখ মানুষের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করা যেতো, ৫ লাখ টোকাইকে খাওয়ায়ে পরায়ে স্কুলে পাঠানো যেতো; ১ লাখ গার্মেন্টস'এর মেয়েদের করোনা কালে (২ বছর ) থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্হা করা যেতো; ৪০ লাখ কর্মীর জন্য বেকার-ভাতার ফান্ড শুরু করা যেতো।
শেখ হাসিনা জাতির টাকাগুলো পানিতে ফেলছেন; অর্ধেক টাকা কন্ট্রাক্টটর ও ইন্জিনিয়রেরা ডাকাতি করছে, বাকী টাকা দিয়ে সাদা হাতী বানাবে যা মেরামত করতে প্রতি বছর হাজার কোটী খরচ হবে; এদিকে জাতির দরিদ্র ও এতিম সন্তান গুলো রাস্তায় ঘুমাবে, প্রেগনেন্ট মহিলা রাস্তায় ঘুমাবে, মাসে একবার গোসল করতে পারবে না, রাস্তার পাশে প্রাকৃতিক কাজ সারবে; এই হলো বুদ্ধিমতীর কাজ!