মহামারী যদি ২০২২ সালের শেষের দিকে কমে আসে, কিংবা গা-সহা হয়ে যায়; তখন বিশ্বের সামনে সব চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে থাকবে, বেকার সমস্যা; একমাত্র চীন ব্যতিত, কোন দেশ এই সমস্যা এড়াতে পারবে না; ইউরোপ ও আমেরিকা এই সমস্যা নিয়ে সবচয়ে বেশী ভুগবে। পশ্চিমের দেশগুলোর মাঝে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া ও স্কেনডেনেভিয়া সবার আগে এই সমস্যা সমাধান করতে পারবে। যারা টিকা কিনেনি, তারা বেকার সমস্যা নিয়েও মাথা ঘামাবে না।
করোনার আগেও, বাংলাদেশ সরকার বেকার সমস্যাকে বড় সমস্যা হিসেবে গুরুত্ব দেয়নি; করোনার পর, ইহাকে গুরুত্ব দেবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের প্রশাসন ও সরকারের লোকেরা বেকারত্ব নিয়ে কোনদিন চিন্তিত হয়নি; কারণ, বেকার সমস্যা নিয়ে সরকারের উঁচুপদের লোকেদের কখনো বিচলিত হতে দেখা যায়নি।
অশিক্ষিতদের জন্য চাকুরী খোঁজে আদম ব্যাপারীরা ও গার্মেন্টস সেক্টর; সরকারকে এই নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না; সমস্যা হলো শিক্ষিতদের নিয়ে। বিশ্বে দক্ষ শিক্ষিতদের বাজার আছে; কিন্তু বাংলাদেশের গ্রাজয়েটদের জন্য বিশ্বে কোন চাহিদা নেই। তবে, দেশে যেই পরিমাণ সম্পদ আছে, শিক্ষিতদের চাকুরী দেশেই হওয়া সম্ভব।
আপনারা যাঁরা চাকুরী বাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, তাঁরা সরকারী বেসরকারী খাতগুলো সম্পর্কে জানেন; দেশের প্রাইভেট কর্পরেশনগুলো, সরকারী, আধা-সরকারী মিলে ও সেলফ-এমপ্লয়মেন্ট ইত্যাদি কি প্রতি বছরের নতুন গ্রেজুয়েটদের চাকুরী দিতে পারবে? যদি দেশে আসলে দরকারের বেশী গ্রেজুয়েট বের হয়, তখন কি করার দরকার?
চোখের সমানে যত রকমের সমস্যা দেখছেন, এগুলোকে ধ্রূব হিসেবে ধরে নিয়ে, আপনি কোন রকমের আইডিয়া দিতে পারেবেন যে, এই অবস্হায়ও চাকুরী সৃষ্টি করা সম্ভব?
২০১৪ সালের ভোটের আগে, বেগম জিয়া বলেছিলেন যে, তাঁকে ভোট দিলে, তিনি বেকার সমস্যা ও এনার্জি সমস্যা সমাধান করে দেবেন; তিনি সেই পথ জানেন; আপনি কি কোন পথ জানেন?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৮