করোনার কারণে দেড় বছর স্কুল বন্ধ রাখার কারণে কত ছাত্র ঝরে পড়েছে, ওরা কোথায় যাবে, ওদেরকে স্কুলে ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব? যেসব পরিবার দারিদ্রতায় পড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর ছেড়েছে; তাদের বাচ্চারা গ্রামের স্কুলে যাবে?
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ 'প্রশ্নফাঁস'এর জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, সন্দেহ নেই; তিনি ছোট্ট এই সমস্যাটির সমাধান বের করতে পারেননি, হতবাক হওয়ার মতো কথা, জাতির ভয়ংকর ক্ষতি হয়েছে! তবে, উনি একটা দরকারী কাজ করে গেছেন, ছাত্রদের দরকারী তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেইজ রেখে গেছেন; আমি ডাটাবেইজটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানি না, অনুমান করছি যে, উহাতে ছাত্রদের ও তাদের পরিবার সম্পর্কে দরকারী তথ্য আছে, যা দ্বারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাত্র ও ছাত্রের পরিবারকে বুঝতে পারার কথা, ও সেই তথ্যানুসারে জাতির শিক্ষা ও চাকুরীর জন্য প্ল্যান করতে পারার কথা।
মন্ত্রী মুহিত সেই ডাটাবেইজের তথ্য কাজে লাগাতে পেরেছিলেন কিনা, বলা মুশকিল; কারণ, তিনি কখনো ইহা নিয়ে আলোচনা করেননি, এবং দেশের শিক্ষার মান ইত্যাদি প্রমাণ করছে যে, তিনি ইহার ব্যবহার হয়তো জানতেন না। উনি চলে যাবার সাথে সাথে কি ডাটাবেইজটারও মৃত্যু হলো? সংবাদে মংবাদে ইহার কোন খোঁজখবর নেই।
উনার পরে এখন যিনি এসেছেন, মন্ত্রী দীপুমনি, ইনি আবার এক বিরাট শিক্ষা স্পেশালিষ্ট, যিনি নামে মাত্র ডাক্তারী পড়েছিলেন, কিন্তু আসলে ছিলেন ছাত্রলীগার, কুল-পেয়ারার রাজনীতিবিদ। উনি মন্ত্রী নাহিদের ডাটাবেইজটা উত্তারিকারসুত্রে পেয়েছেন; যদি তিনি ইহাকে কাজে লাগাতে পারেন, ছাত্ররা অনেকভাবে উপকৃত হবে ও জাতির শিক্ষা-ব্যবস্হার মান সম্পর্কে মন্ত্রী নিজে সঠিক কিছু চিত্র পাবেন।
আমাদের জাতির শিক্ষাসম্পর্কে আমরা সঠিক তথ্য কোনভাবেই জানতে পারি না; এসব ব্যাপারে বাংগালীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। স্কুল আছে, বাবার সামর্থ থাকলে স্কুলে যাও, না'হয় গোল্লায় যাও, এই হলো সরকারী ও সামাজিক নিয়ম।
সরকার আগে কখনো সঠিকভাবে জানতো না যে, কত শিশু স্কুলে যাচ্ছে, কতজন যাচ্ছেনা, কতজন কোন শ্রেণী থেকে ঝরে যাচ্ছে, কতজন ফেল করছে, কত জনের বাবা নেই, কতজন বস্তিতে বাস করছে। নাহিদ এই তথ্যগুলো সংগ্রহের ব্যবস্হা করেছিলো। দীপুমনি চাইলে ইহাকে কাজে লাগাতে পারে।
নাহিদের ডাটাবেইজটাকে কাজে লাগিয়ে ঝরে যাওয়া ছাত্রদেরকে ১ দিনের মাঝে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে, পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে, পরিবারের অবস্হা ও অবস্হান জানাও সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪