আফ্রিকার গ্রামগুলো মোটামুটি বেশ বিচ্ছিন্ন ও হাট-বাজারগুলোতে অন্য এলাকার লোকজন তেমন আসে না; ফলে, গ্রামগুলোতে করোনা বেশী ছড়ায়নি। বেশীরভাগ দেশের সরকার ওদের কত গ্রাম আছে তাও সঠিকভাবে জানে না; আফ্রিকার গ্রামগুলোর খোঁজ খবর রাখে ইউরোপিয়ানরা। আফ্রিকার কোন দেশের গ্রামে মহামারি লাগলে, প্যারিস বা লন্ডন থেকে সেই দেশের সরকারকে জানায় সাধারণত; কিংবা আফ্রিকার সরকারী লোকেরা প্যারিসে বাজার করতে গেলে পত্রিকায় দেখে তাদের দেশের কোন কোন প্রদেশে দুর্ভিক্ষ চলছে।
করোনার শুরুতে, FAO সব গরীব দেশগুলোকে হুশিয়ার করেছিলো যে, করোনা যদি ১ বছরের বেশী সময় থাকে, বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, ভিক্ষাও কম পাওয়া যাবে; এবং যাতায়তের অসুবিধার কারণে খাদ্যের সরবরাহ কমে যাবে। সেটা গরীবদেশে ঘটার আগে আমেরিকায় ঘটে গেছে; নিউইয়র্ক শহরে খাবারের দাম অনেক বেড়ে গেছে; সামুদ্রিক মাছের অবস্হা বাংলাদেশের ইলিশের মতো হয়ে গেছে: ১ ডলারের হোয়াইটিং ৫ ডলারে বিক্রয় হচ্ছে, অনেক ধরণের মাছ বাজারে নেই।
কিন্তু নিউইয়র্কের আফ্রিকান আমেরিকানরা এবার সবচেয়ে বেশী পরিমাণ খাবার খাচ্ছে: রাতদিন ২৪ ঘন্টা রেডিমেইড খারারের ডেলিভারী বেড়ে গেছে আমেরিকান আফ্রিকান দরিদ্র এলাকাগুলোতে; দুর্ভিক্ষ তো দুরের কথা, অনেকের ওজন বাড়ছে হু হু করে! এত টাকা কোথায় পাচ্ছে তারা? ওরা আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে, শতকরা ৮০ জনের বেশী ঘরভাড়া দিচ্ছে না; ঘুমানোর চিন্তা নেই, খাও আর খাও, বেশী করে খাও আর আড্ডা মারো।
কিন্তু আসল আফ্রিকা চাষবাস কম করে, তারা ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে; সরকারগুলো নিজের জমি দেখে না, রিলিফের ট্রাক গুণে বসে বসে।
FAO জানতো যে, আফ্রিকার সরকারেরা চাষবাসে বেশী আগ্রহী নয়; কিন্তু রিলিফ যাদের থেকে পাবার কথা, তাদের চাষবাস ও ট্রান্সপোর্টের কি অবস্হা? ট্রান্সপোর্ট শ্রমিকের অভাবে আমেরিকার অনেক বন্দর তাদের কার্যক্রম শতকরা ৬০ ভাগ চালু করতে হিমশিম খাচ্ছে! ভিক্ষার চাল, গম গোডাউনে আছে, কিন্তু পাঠানোই সমস্যা; আগামী ২/১ বছর পর, গুদামের কিছু অংশ খালি হয়ে আসবে, মনে হয়।
দক্ষিণ আমােরিকার শহর কেন্দিক দেশগুলোতে ( ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, পেরু ) খাবারের দাম বেড়ে গেছে অনেকটা; আমেরিকার সাথে বর্ডার থাকায় মেক্সিকো আপাতত ভালো আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১২