বাংলাদেশের বাংগালীরা এখন প্রতি বছর ধর্মীয় সন্ত্রাস দেখে দুর্গাপুজার সময়, ভারতীয়রা দেখে কোরবাণী ঈদের সময়; বার্মার রোহিংগারা দেখে প্রতি বছর, প্যালেষ্টাইনে দেখে প্রতি মাসে। কোরান, হাদিস, বেদ, তোরাহ কিংবা বাইবেল এগুলো থামাতে পারবে? যদি পারে বলে আপনার মনে হয়, আমাকে একটু বুঝানোর চেষ্টা করবেন। ধর্মীয় সন্ত্রাসের মুল কি এই বইগুলোর শিক্ষার মাঝে আছে, নাকি সনত্রাসের মুল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হা, স্বাস্হ্য ব্যবস্হা, অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্হার মাঝে নিহিত আছে?
ডাক্তারী বই পড়ে একজন মানুষ কি শেখেন, ইন্জিনিয়ারিং বই পড়ে যেজন স্পেসালিষ্ট হয়, তিনি কি শেখেন? এদের শিক্ষা শেষে এরা কি দুর্গাপুজার মুর্তি ভাংগার কথা নিয়ে ভাবেন, নাকি মানব সমাজকে সাহায্য করার কথা, সমাজকে এগিয়ে নেয়ার কথা, মানুষের ভালোর কথা ভাবেন? যারা ধর্মীয় পুস্তক থেকে সমাজ ও পৃথিবীকে বুঝার চেষ্টা করেন, তাদের ভাবনার জগতটা কি রকম, তারা কি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে?
আজকের বিশ্বে, একটা সমাজে একাধিক ধর্মের উপস্হিতি মানুষের মাঝে সমস্যার সৃষ্টি করছে এশিয়া ও আফ্রিকায়; কিন্তু আজকের ইউরোপ, আমেরিকায় ও অষ্ট্রেলিয়ার এই সমস্যা নেই। ইউরোপ, আমেরিকায় বহিরাগতরাই বরং ধর্মীয়-সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে মোটামুটি।
ইরান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, পাকিস্তানে শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী, আহমেদিয়াদের ভেতরে ধর্মীয় সন্ত্রাসের কারণ কি? ওদের ডাক্তারী, অর্থনীতি, সমাজবিদ্যার বইগুলো এসব কিছু মুল, নাকি ধর্মীয় বই ও ধর্মীয় চিন্তাধারা এখানে কাজ করছে? জাপান, সুইডেনসহ যেস দেশে ধর্মীয় শিক্ষার উপর জোর দেয়া হয় না, সেখানে ধর্মীয় সন্ত্রাস নেই বললেই চলে; ইহাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
ধর্মীয় সন্ত্রাসের মুল জানা না'হলে, ইহার সমাধান বের করা সম্ভব হবে না; মানুষের ভাবনাচিন্তা না বদলালে, একা আইন ও শাস্তি এই সমস্যার পুরো সমাধান দিতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২