দ: আফ্রিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ এলাকার দেশগুলোতে COVID-19'এর নতুন একটি ভার্সন, B.1.1.529 ধরা পড়েছে; বৃটেন ও ইসরায়েল দ: আফ্রিকার সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ষ্ট্ক-মার্কেট পড়ে গেছে; নিউইয়র্ক ষ্টক-ফিউচার DOW Industrial ৮০০ পয়েন্ট নীচে আছে ( ৫০ পয়েন্ট উঠানামা স্বাভাবিক)। আফ্রিকার বাহিরে ইসরায়েলে ও হংকং'এ ১ জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
COVID-19'এর এই নতুন ভার্সন, B.1.1.529 'এর ফিজিওলোজী থেকে ধরণা করা হচ্ছে যে, ইহা ভারতীয় ডেলটা ভাইরাস থেকে অনেক শক্তিশালী, ইহার সংক্রণ ক্ষমতা অনেক বেশী হতে পারে, টিকা কাজ না করার সম্ভাবনা আছে ও মৃত্যুর হারও বেশী হতে পারে।
ভাইরাস যেখানে আছে, সেখানে "মিউটেশান" বা নতুন ভার্সন হবে; যেখানে ভাইরাস নেই, সেখানে নতুন ভার্সন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দ: আফ্রিকায় ভাইরাস কমেনি, আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আন্চলের কেহ টিকা কিনেনি, এমন কি রিলিফের টিকাও টিক মতো দেয়া হচ্ছে না, এই এলাকার দেশগুলোর সরকারগুলো মোটামুটি ডাকাত।
করোনা ভাইরাসের চারিদিকে কাঁটার মত বেরিয়ে থাকা প্রোটিনে ৩০টি বিবর্তন ঘটেছে বলে জানায়েছেন দ: আফ্রিকার একজন বিজ্ঞানী, টুলিও ডি ওলিভিয়েরা। করোনা ভাইরাসের এই প্রোটিন গুলো ভাইরাসটিকে মানব শরীরের সেলের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে; ভাইরাস সেলের সাথে সংযুক্ত হলে, ইহা সেলটিকে আক্রমণ করে।
মনে করা হচ্ছে, দ: আফ্রিকা, নমিবিয়া, বোটসসোয়ানা, জিম্বাভে'তে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। মনে হয়, এখনো করোনার সবচেয়ে বেশী সংক্রমণ হচ্ছে আমেরিকায়; কিন্তু এখানে ইতিমধ্যে নতুন কোন খারাপ মিউটেশান হয়নি। আফ্রিকা ও ভারতে সহজে মিউটেশান হওয়ার জন্য সেখানকার মানুষের ফিলিওলজি, তাদের ঔষধ গ্রহন ও জীবনযাত্রা প্রনালী কোনভাবে প্রভাব রাখছে বলে মনে হয়।
মনে হয়, ২/১ দিনের মাঝে ব্লগার কলাবাগান-১'এর পোষ্ট পাওয়া যেতে পারে, যেখানে এই নতুন ভার্সন'এর ফিজিওলোজী ও এনাটোমী সম্পর্কে ব্যাখ্যা থাকতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২