মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মেজর জিয়ার ঘনিষ্টরা ছিলেন, ক্যা: মাহফুজ, ক্যা: হামিদ, মেজর শওকত আলী, মেজর রফিক, ক্যা: ওলি, ক্যা: শামসুল হক, ক্যা: আলী, ক্যা: এনাম, লে: খালিদ। আজকের দিনে হিসেব করলে, জেনারেল জিয়ার পরিবারটি ভয়ংকর অশান্তি ও অসুখী পরিবার; কিন্তু উনার সাথীদের মাঝে সবার পরিবারই মোটামুটি শান্তির সাথে বসবাস করেছে। যুদ্ধে অবদানের জন্য মেজর জিয়াকে অনেকটা সরাসরি জেনারেল পদ দেয়া হয়েছিলো ও মিলিটারীর কমান্ডে ২য় স্হানে ছিলেন; তিনি সেটা নিয়ে শান্তিতে জীবন যাপন করলে, উনাকে অকারণে অসময়ে প্রাণ দিতে হতো না, এবং ৩৬ বছর বয়স্কা বেগম জিয়াকে অকালে বিধবা হতে হতো না, উনাদের ছেলে আরাফাতকে পরিবার থেকে দুরে, প্রবাসে মরতে হতো না, তারেককে নির্বাসনে থাকতে হতো না। পরিবারটি অনেক চুরির টাকা পয়সার মালিক হয়েছে, কিন্তু শান্তি পায়নি কখনো। সেই তুলনায়, উনার যুদ্ধের সাথীরা সবাই শান্তিপুর্ণ পারিবারিক জীবনের অধিকারী হয়েছিলেন।
শেখ হত্যায় অংশ নেয়ার পর, জেনারেল জিয়ার পক্ষে বেঁচে থাকাটা অসম্ভব ছিলো; তারপরও তিনি ৬ বছর বেঁচে ছিলেন; এই ৬ বছর বাঁচতে গিয়ে ৪/৫ সৈনিককে হত্যা করতে হয়েছে জেনারেলকে; এবং অবশেষ সব হিসেব নিকেশ দিতে হয়েছে, উনার ঘনিষ্টরা উনাকে হত্যা করেছে।
জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর, ৩৬ বছর বয়স্কা বেগম জিয়া নিজের জন্য মোটাুমুটি একটা প্রশান্তিকর জীবন বেছে নিতে পারতেন; আর্থিকভাবে বেগম জিয়া ভালো অবস্হানে ছিলেন: স্বামীর পেনশন, ঢাকাতে ২ টুকরা জমি ও এরশাদের দেয়া ২টি বাড়ী, গাড়ী, নগদ টাকা, সরকারী চাকর-চাকরাণী, ছেলেদের পড়ালেখার সরকারী খরচ, সব মিলে উনি ১৯৮২ সালে, ধনী বাংগালীদের শ্রেণীতে ছিলেন; কিন্তু সেই শান্তি উনার সইলো না। জেনারেল জিয়ার অপকর্মের সাথীরা উনাকে দুষ্টবুদ্ধি দিয়ে বিএনপি'র সভাপতি বানিয়ে দেয়। বেগম জিয়ার দক্ষতা এত কম ছিলো যে, উনি নিজের বাচ্চাদের পড়ালেখার ব্যাপারগুলোও বুঝতেন না, তিনি হয়ে গেলেন বিএনপি'র সভাপতি; এরপর, উনাকে ২ বার প্রধানমন্ত্রী করলো মিলিটারী, জাতিকে আফ্রিকা কিংবা বার্মার মতো জাতিগুলোর সমপর্যায়ে নিয়ে গেলো মিলিটারী, ব্যুরোক্রেটরা ও স্বাধীনতার বিপক্ষের রাজনীতিবিদরা; উনার ছেলেদের পড়ালেখা হলো না, নিজে চুপিসারে বিয়ে করলেন রাস্তার এক লোককে, ইহাকে জীবন বলা হয়?
*** ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছেন যে, এখনই যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে বেগম জিয়া এই মাসও টিকবেন কিনা বলা মুশকিল। ডা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কি এত অভিজ্ঞ ডাক্তার?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০০