আমার মতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পংগু গ্রেজুয়েট তৈরি করছে, টাকার দিক থেকে ডাকাতী করেছে; আপনারা যারা কাছের থেকে দেখছেন, তারা নিশ্চয় ভালো জানেন। গত কয়েক বছরে ব্লগে বেশ কিছু ইউনিভার্সিটি শিক্ষকদের ব্লগিং দেখেছি, এঁরা কেহ কোনদিন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নিয়ে একটি পোষ্টও লিখেননি। আরেকটা বিষয়, ব্লগে ইউনিভার্সিটির যেসব শিক্ষক ব্লগিং করতেন, তাঁদের লেখা ইত্যাদি প্রায়ই ছিলো অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর ও বেশ দুর্বল।
সম্প্রতি, আমার স্ত্রীর দিক থেকে আমার আত্মীয় পরিবারের মেয়ে প্রাইভেটে গেছে, সে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছিলো; কিন্তু সে যেই সাবজেক্ট চেয়েছিলো, সেটা পায়নি, অন্য একটাতে পেয়েছিলো। পরিবারের ফাইন্যান্সিয়ালের যেই অবস্হা, ইহা প্রাইভেটের জন্য ভালো নয়, এবং মেয়ের যে রেজাল্ট তার পাবলিকে যাওয়াটাই সঠিক ছিলো। মেয়ে পরিবারকে কনভিন্স করে প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছে; মেয়ে যেভাবে পরিবারকে কনভিন্স করেছে, ইহা আমার পছন্দ হয়নি।
বাংলাদেশে গত ২/৩ বছর আনুমানিক ১১ লাখ ছেলেমেয়ে এইচএসসি লেভেলের পড়ালেখা শেষ করছে; এদের মাঝে পাবলিক ইউনিভার্সিটি ইত্যাদিতে মনে হয়, আনুমানিক ৪০/৪৫ হাজার ভর্তি হচ্ছে; বাকীগুলোর বড় অংশ জাতীয় ইউনিভার্সিটি ও প্রাইভেটে যাচ্ছে। আমি দেখছি, ধনী পরিবারের যারা পড়ালেখায় দুর্বল, এরা সবাই প্রাইভেটে যাচ্ছে; যারা সাাধারণ সাবজেক্টেও পাশ করার কথা নয়, এই রকম অনেকেই ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়েছে।
আমি করোনার মাঝে নিউইয়র্কে মোটামুটি বেশ পরিচিত ১ বাংগালী নিউরোলোজিষ্ট'এর কাছে গিয়েছিলাম; আমার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন ১ জন বাংগালী তরুণ ডাক্তার; তিনি অপ্রয়োজনীয় বেশ কথাবার্তা বলছিলেন, আমার পছন্দ হচ্ছিল না; আমার অবস্হা সম্পর্কে আমি জানতে চাচ্ছিলাম; তিনি এক পর্যায়ে বললেন যে, আমাদের হায়াত-মউত আল্লাহের হাতে! আমি বুঝলাম, আমি বেকুবের হাতে পড়েছি। তিনি আমাকে জানালেন যে, উনারা ৩ ভাই ডাক্তার, কিন্তু উনাদের ৫৬ বছর বয়সী মা আমেরিকায় করোনায় মারা গেছেন, উনারা ৩ ভাই কিছুই করতে পারেননি, সবই আল্লাহের হাতে।
নিউরোলোজিষ্ট আমার পরিচিত, উনার কাছে অনেকটা নালিশের মতোই করলাম; উনি বেশ বিরক্ত হয়ে বললেন যে, ঐ লোক উনার স্ত্রীর ভাই, বাংলাদেশে কোন এক প্রাইভেট থেকে পাশ করে এসে এখন উনার ঘাঁড়ে; স্ত্রীর মন রক্ষার জন্য তিনি কুইনাইন গিলছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮