আমার মতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো পংগু গ্রেজুয়েট তৈরি করছে এবং ফি'এর নামে ডাকাতী করেছে। ফি নিয়ে ডাকাতী থামানোর উপায় হলো, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মালিকানা ছাত্রদের পরিবারকে ও চাকুরীজীবি ছাত্রদের হাতে দেয়া; ইহাতে ফি কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ গুণ কমে আসবে: ১০ লাখ টাকার ফি'এর যায়গায় ১/২ লাখ টাকা ফি আসবে। ইহা কিভাবে সম্ভব?
ডাকাতদের হাত থেকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মালিকানা ছাত্রদের পরিবার/ছাত্রদের হাতে দেয়ার জন্য একটা আধুনিক ও পরিচিত ফাইন্যন্সিয়াল নিয়ম প্রয়োগ করতে হবে, সব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর একটি সন্মিলিত ETF ( এক্সচেন্জ ট্রেইডেড ফান্ড: বেশ কিছু পরিমাণ কোম্পানীর ষ্টকের বান্ডেল ) বের করতে হবে; ছাত্রদের পরিবার/ছাত্ররা এই ETF কিনে, নিজেরাই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মালিক হবেন। ছাত্র পড়ালেখা শেষ করা অবধি একটি মিনিমাম সংখ্যক ETF ছাত্রের পরিবার/ছাত্রকে ধরে রাখতে হবে। বর্তমান ডাকাত মালিকেরা একটা অংশ পাবে; এতে তাদের মালিকানা কমে আসবে, এক সময় তারা হয়তো মালিকানা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।
প্রথমে প্রতিটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ষ্টক-মার্কেট আইপিও বের করতে হবে; আইপিও বের করা মানে কোম্পানীকে "প্রাইভেট" থেকে "পাবলিকে" পরিণত করা; এখানে ব্যবহৃত "পাবলিক" শব্দটা ষ্টক-মার্কেটর টার্ম (ইহা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, পাবলিক ইউনিভার্সিটির "পাবলিক" নয় )। আইপিও বের করার নিয়ম আপনারা যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য ২/১লাইনে ব্যাখ্যা করছি: কোন প্রাইভেট কর্পোরেশনের শেয়ারকে ষ্টক-মার্কেটে বেচাকেনা করতে হলে, এজন্য SEC'এর (সিকিউরিটি এক্সচেন্জ কমিশন ) অনুমতি পেতে হয়; ইহার জন্য কোম্পানীকে একটি ফাইন্যান্সিয়াল প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়: এই প্রসেসে, কোম্পানীর সম্পদের পরিমাণ হিসেব করে, শেয়ারের সংখ্যা ও শেয়ারের প্রাথমিক মুল্য নির্ধারণ করে থাকে একটি "ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংক"; শেয়ারের প্রাথমিক মুল্য ও সংখ্যা হচ্ছে আইপিও প্রসেসের সারমর্ম।
প্রতিটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শেয়ার ষ্টক-মার্কেটে ২/৪ মাস বেচাকেনার পর, তাদের আপেক্ষিক ওজন ( শেয়ার মুল্যের অনুপাতে ) অনুসারে ETF চালু করে, উহা ছাত্রদের পরিবার, চাকুরীজীবি ছাত্রদের ও বর্তমান মালিকদের কাছে বিক্রয় করা হবে। বর্তমান মালিকেরা আইপিও কিংবা ETF থেকে কিছু অংশ পাবে, যেটা মালিকানার হাত বদলের মুল্য।
আপনারা অবশ্যই জাতির শিক্ষার মান ও খরচ নিয়ে চিন্তিত; শিক্ষার মান বাড়াতে হলে ও খরচ কমানোর জন্য সব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মালিকানা ডাকাতদের হাত থেকে নিয়ে ছাত্রদের পরিবার/ছাত্রদের হাতে দেয়াই সঠিক পদক্ষেপ হবে; ইহার ফলে, খরচ ৫/১০ গুণ কমে যাবে, একই সাথে এসব ইউনিভার্সিটি পাবলিকদের মতোই, কিংবা আরো ভালো প্রাগ্রাম চালু করতে সমর্থ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০