কোঁকড়া চুলের ছোট্ট একটা মুখ
কান্নার শব্দ বেড়ার ফাঁক গলে বের হয় কি হয়না,
হারিয়ে যায় অনাচারের শব্দভীড়ে।
মায়া ভরা মুখটা তার
ক্লান্ত মায়ের মনে আনন্দ বিষাদের আসা যাওয়া
তাড়নার বীজে, ভুল থেকে তার ফুটফুটে ফুল
কি বলে ডাকবে হয়না ভাবার সময়
চোখ মেললেই দেখে, অভিমানী ঠোঁট
আর নিষ্পাপ ক্ষুধা।
দেহ বাড়ে, বাড়িয়ে দেয় ক্ষুধা
অনুর্বর রাজপথে চলে জীবিকার চাষ।
প্লাস্টিক কিংবা ফুলে
লোহা কিংবা ইটে
অথবা যত্নে গড়া মানুষের ঘৃনায় ফেলা স্তুপে
সংগ্রাম বোনে,
নোংরা দেহটাকে জিইয়ে রাখার।
নগর ছবির রঙ্গিন ছোপে
সাদাকালো কলংক যেন।
গল্প জমতে থাকে পাথুরে জীবনে
পৃষ্ঠের পরে পৃষ্ঠে
নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার গল্প
এ গল্প কখনও পাপ কখনও ঘৃনার
কখনও ক্ষনিকের জন্য ভাল লাগার
কোন মুখ দেখে রক্ত মাংসের অনুভূতির
কখনও ক্রোধ আর বন্যতার
ক্রমশই অছ্যুত হয়ে যাওয়ার
বুঝতে পারা, কেউ নেই অপেক্ষায়।
রাস্তার ধারে পরে থাকা দেহটা
চলে গেছে প্রাণ, সাথে নিয়ে গেছে পাপ যত
নতুন ঠিকানা, নতুন পরিচয় তার
বেওয়ারিশ লাশ।
গল্পটা আর শেষ হয়না
পরম যত্নে ফরমালিনে জমানো দেহখানিতে
কখনও বা বিদ্যার ছুরি, কখনও অনুবীক্ষনে
নিরন্তর চলে জ্ঞানের ব্যবচ্ছেদ,
অনর্থক জীবন রেখে যায়
ব্যবহারিকের দেহ, দামী কংকাল।
কালি ঝরতেই থাকে বর্ণহীন
পড়া হয়না আর
জানা হয়না গল্পের শেষ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৯