ইদানিং বেশীর ভাগ সময় যে কোন কিছু নিয়ে নিরুত্তাপ থাকার চেষ্টা করি, তবে সেটা বেশীর ভাগ সময়ই খুবই বিরক্তিকর হয় অন্য কিছু মানুষের জন্য। সম্ভবত যেই আমার সাথে কিছুক্ষন কথা বলবে আমি তার মেজাজটা খুবরকম খারাপ করে দিতে পারব। বেশী হলে ৫-১০ মিনিট। আমি সেই মেজাজ খারাপটা দেখে একটা আনন্দ পাওয়া শুরু করেছি। এইটা শয়তানি আনন্দ ভেবে আর ভালো লাগছে। জিনিসটা যদিও খারাপ, তারপরেও আমি শয়তানি আনন্দটা খুব উপভোগ করি। আমার এখন আর কাউকে শান্তিতে দেখতে ইচ্ছে করে না।
নিজের মাঝে আমি অনেক পরিবর্তন টের পাচ্ছি। অনেক কিছু নতুন লাগছে, কিন্তু ব্যাপারগুলো খুব পুরোনো। নতুন লাগছে শুধু ধারনা বদলানোর কারনে। এই জিনিসটা খুব ভাল একটা জিনিস আমাকে দিয়েছে। আমি এখন খুব সহজে ঠান্ডা মাথায় খুব কঠিন কথা বলে ফেলতে পারি, আগে কন্ঠনালীর কাছে এসে কথাগুলো হজম হয়ে যেত, এখন খুব সহজে মুখ থেকে বেরিয়ে যায়।
গতকালকে আমি খুব মজার একটা কাজ করেছি। বাবার হসপিটাল থেকে বের হয়ে মোবাইল বন্ধ করে নিজের গাড়িতে করে ঘুরেছি। পাশেই বাবা ও তাঁর এক বন্ধু। অনেক চিন্তার মাঝে তারা, আর আমি বসে বসে আনন্দ ভোগ করেছি। যেখানে আমি কখনও একা যাওয়ার চিন্তাও করি নি, এমনকি কখনও যাই নি সেই রাস্তায় একা একা হেঁটেছি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় চেনা যায়গা উংঝুতে আসতে পেরেছিলাম। ইচ্ছা ছিল জীবনে আর কোনদিন বাসায় যাব না, কিন্তু আবার ফিরে আসলাম। বাসায় আসার পর আমার প্রচুর বকা শোনা উচিত ছিল, কেন যেন কেউ কিছু বলে নি। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত একটা মেয়ে, যে কিনা কারো মেয়ে, কারো বোন, তার উধাও হয়ে যাওয়া সম্ভবত একটা ইলেকট্রক শক দিয়েছিল। হা..হা.. হা.... (শয়তানি আনন্দের হাসি)
খুব কাছের কয়েকজন আছেন যাদের সাথে আমি তর্ক করতে খুব পছন্দ করি। খুব বাজে একটা অভ্যাস, তবুও আমি তর্ক করতে অনেক পছন্দ করি। তবে ইদানিং ঐসব মানুষের সাথে তর্ক করা বন্ধ করে দিয়েছি। তর্ক করি নিজের সাথে, নিজের সাথে তর্ক করার মজাটা অন্যরকম। ব্যাপারটা আগে জানলে সম্ভবত অনেক আগেই মানুষের সাথে তর্ক করা বন্ধ করে দিতাম।
আমি ছিলাম এক ছিঁচ কাঁদুনে মেয়ে। কিছু হলেই ফ্যাচ ফ্যাচ করে কেঁদে নাকের জল চোখের জল এক করার ন্যাকামি খুব বেশী ছিল। বড়দের বিপদে ফেলতে জুড়ি মেলা ভার আমার জন্য।
কাঁদা জিনিসটা কি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে ভুলে গেছি অথবা এমনিতেই ভুলে গেছি। এখন কাঁদতে ইচ্ছা করে কিন্তু কীভাবে কাঁদে অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারি না, শুধু মনে পড়ে কাঁদলে চোখ থেকে পানি পড়ে। পুরো প্রক্রিয়াটা মনে পড়ে না। খুব হাসির কথা তাই না? আমার লিখতে গিয়েই অনেক হাসি পাচ্ছে। হা.. হা.. হা....
আমার শয়তানি আনন্দ নিয়ে আমি অনেক সুখে আছি। একা একা। অনেক সুখে, অনেক অনেক সুখে
কৃতজ্ঞতাঃ ভুত.