somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যদি সময় থাকে তবে পড়েন: তাড়া থাকলে বাদ থাক।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রকৃতির সাথে আমাদের জনজীবনের বিশেষত ব্যাক্তিজীবনের ভারসাম্য থাকাটা জরুরী। কারন তিনটি ভিন্ন ফ্যাক্টর মিলে আমাদের যাপিত সময়ের বর্তমান অংশটাকে পূর্ণতা দেয়। নিজ স্বত্তা, প্রকৃতি আর মনুষ্য সমাজ। এর মধ্যে তৃতীয়টিকে আলোচনার বাইরে রাখব, কারন এটি আমার চরম অপছন্দের একটি বিষয়। ঋতুচক্রের সাথে সাথে আমাদের অ্যাক্টিভিটির একটা অলিখিত শৃংখল আছে।

আমাদের এই ওরিয়েন্টাল ভৌগোলিক অঞ্চলটাতে আমি একটা ব্যাপার অনুধাবন করি:--- একেকটি কালপর্ব আমাদেরকে বিভিন্নরকম আমেজ দিয়ে আবিষ্ট করে রাখে। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বর্ষার সময়টায় ভেজা সতেজ পরিবেশ আমাদেরকে আগলে রাখে, ন্যাচারাল স্পা দিয়ে মোলায়েম করে। যখন মানুষজন কাজেকর্মে চলাফেরায় সাচ্ছন্দ বোধ করে।

এখন তো ট্রানজিশনাল পিরিয়ড চলছে। শারীরিক অসুস্থতার মধ্য দিয়ে আমরা ক্রমশঃ ঊনবল হচ্ছি। বায়ুমন্ডলের আদ্রতা কমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ত্বকে একধরনের মলিনতার প্রলেপ একটু একটু করে গাঢ় হচ্ছে। হওয়ার ই কথা।
শীতের স্বাভাবিক রুক্ষ পরিবেশে যখন ঘাস, তৃনলতা, গাছগুলো বাদামী হতে থাকে, মাটির ঝাঁঝালো পীড়াদায়ক গন্ধটা বায়ুপ্রবাহের সাথে মিশতে শুরু করে। এ রকম বিরূপ প্রকৃতি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে স্নায়ুকে বিপর্যস্ত করতে ব্যাপক সহায়তা করে।

তো যা বলছিলাম। মানে, প্রকৃতির সাথে আমাদের ভারসাম্যের ব্যাপারটা। এ সময়টায় একটু ভাল, কুল, স্মুথ লাইফ লীড করতে চাইলে, আমাদেও প্রাণশক্তিটা একটু বাড়িয়ে নেওয়া উচিত। তা না হলে আমরা পিছিয়ে পরব,বাট লং উই হেভ টু গো।

তো, যে যেখান থেকে পারেন, খোরাক যোগাড় করে তেজটা বাড়িয়ে নেন। মূল পেশার পাশাপাশি, পছন্দের যে বিষয়টা, ওখানো একটু মনোযোগ দেন। এক্ষেত্রে আমার অবশ্য কয়টা হিপহপ র‌্যাপ সং হলেই চলে।

গীটারটায় যারা টুংটাং করেন, তারা দুই একটা ট্র্যাক তুলে ফেলেন। কেউ হয়তো পেইন্টিং-ড্রয়িং শিখেছিলেন পিচ্ছিকালে, আাঁকতে বসে যান সময় করে। গল্প উপন্যাসপায়ীরা পি.ডি.এফ, ই-বুক বাদ দিয়ে, চট কওে কয়টা বই কিনে ফেলেন, পড়ে জোর পাবেন। কাজ শেষে চুটিয়ে আড্ডা দেন বন্ধু, ভাই-বেরাদার নিয়ে।
আর যদি করো পছন্দ হয় প্রিয় মানুষটাকে সময় দেয়া দিতে পারেন, তবে বলে রাখি, ঋতু পরিবর্তনের সাথে আমি এর কোন রিলেশন খুজে পাই না। প্রেমানুভ’তি শীতে যা, গরমেও তা (মাদকের মত, তবে ইহা অবৈধ নহে)। যাই হোক এটা এখানে অফটপিক।

-------------------------------------------------------------------------------
আমার একটা ইস্পেশাল ইন্টারেস্টের কথা শেয়ার করি। অনুকাব্য। অনুকাব্যের মধ্যে আমি আলাদা স্বাদ পাই । রোদ টনটন ব্যাস্ত শহরে হাটার প্রোগ্রামে দুই মিনিটের জন্য এসি শপিং সেন্টারে ঢুকলে যেমন অনুভ’তি হয়, অনেকটা ঐরকম। স্মল বাট পিউর রিফ্রেশমেন্ট।
অনুকাব্যতে কয়েকটা শব্দের মধ্যে মজবুতভাবে গাঁথা থাকে ঘটনা, মেসেজ,আবেগ, রস.......। সবচে বড় কথা ছন্দ থাকে,খাটি মধুর মত।
বলে রাখি, এই জিনিস একবার পড়ে মজা পুরাটা পাওযা যায়না। তিন চার বার পড়ার পর দেখা যাবে, লাইনগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচেছ। জাস্ট ইন্টারেস্টিং। অনুকাব্যে শুরুটা কবে থেকে ঠিক বলতে পারছি না, সম্ভবত প্রথম আলোর সাইদুজ্জামান রওশন এটাকে জনপ্রিয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। উনার কিছু কালেকশন:

১।
টক শো এখন
বাজাইরা
প্যাচাল পাড়ে
আজাইরা।
২।
কাগজ গেল
দিস্তা দিস্তা
তবু শুকায়
আমার তিস্তা।
৩।
ভেবে দেখলাম
জীবনানন্দ দাশ
এখন শুধু
বনলতার লাশ।

আসিফ মেহেদির অনুকাব্য :
১।
অবাক খেয়ালে বেবাক দেয়ালে
দেখি আমি চিকামারা,
নানান রঙেতে বানান ঢঙেতে
লিখে গেছে কে বা কারা!

২।
রাগ করো না লক্ষ্মী মেয়ে
আমি আর প্রেম করবো না,
সত্যি এ ফেসবুকিং ছেড়ে
প্রেমের ও পথ ধরবো না!




দু একটা আমিও লেখার চেষ্টা করি:
১।
অপ্সরা অধরা
ক্লান্তিও ক্লান্ত
গল্পরা দিশেহারা
ভ্রান্তি অনন্ত।
২।
তোমার ভালবাসা পাবার আশা
এখন জলাঞ্জলী ?
তবে আমায় বাসবে ভাল
বীচের চোরাবালি।
৩।
জানালাটায় একফালি চাঁদ
যাচ্ছি ছুটে ট্রেনে,
আাঁৎকে উঠি তুমি হঠাৎ
ধরছো যেন টেনে।
৪।
জল কলকল
জল ছলছল
জল টলমল
মন উচাটন,
ঊনোবল, উন্মাতাল ।
তুমি যত দূরে তত
নোনা জল উত্তাল
৫।
ছিল নিদ্রার বাসনা
তুমি চোখ খুললে।
ভাল যে বাসনা
এত দিনে বললে?
৬।
তুমি
কাজগুলো সেরে যা্ও
বিছানায় ঘুমাতে,
আমি
লোডিংএর ফাঁকে, ফাও
ঘুম দেই সামুতে।:-*





আবার বলি, কয়েকবার পড়েন আসল টেস্ট পেতে হলে।একটানে দুইটানে কিছু হয় না।;););)
সবাই ভাল থাকবেন।আমাকেও ভাল রাখবেন, ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। নিরিশ্বরবাদীরা রাস্তা-ঘাটে পেলে কিছু খাওয়াবেন। খেয়ে ভাল লাগবে।B-):P
শুভকামনা, শুভসন্ধা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:২৭
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×