বিরতি পরে গেল।আমাকে দিয়ে আত্মজীবনি হবেনা।আগের স্মৃতি দূরে থাকল, প্রতিদিনের কথাই তো লিখিনা।
প্রতিদিন আমার ঘুম ভাংগার পর বিছানায় থাকা অবস্থাতেই আমার অবচেতন মন যেটা স্মরন করে তা হচ্ছে অনিক!!ভার্সিটি যাবার পথে ওকে নিয়ে কোনো পুরনো স্মৃতি অথবা কোনো ভাবনা খেলা করতে থাকে আমার মাথায়।আজ তো আরও একধাপ এগিয়ে গেল, বাসা থেকে বের হবার পরই বাবু বলল তার বন্ধুদের কাছে জেনেছে ,অনিক তার গার্লফ্রেন্ড বিদেশ চলে আসার পর খুব আপসেট থাক্ত, তাই ওর বাবা মা জোর করে বিয়ে দিয়েছে।যুক্তি খুবই ভাল দেখিয়েছে , বিশ্বাসযোগ্য।সব দোষই তো আমার।এরাই তারা যারা একদিন অনেক কথা বলেছিল।আমি চলে আসার সময় অনিক বলেছিল,”দেখ তোমার বিয়ের আগে আমি বিয়ে করবনা”।ওর বাবা মা বলেছিল, মেয়ে ফিরে আসলে বিয়ে হবে।কোথায় গেল সব প্রতিশ্রুতি!! আমি চলে আসলাম, তারপর আমার কি হয়েছিল,আমি ফিরে গেলাম অনিক আমাকে ফিরিয়ে দিল, আমি এখন কেমন আছি, এসব তো কেউ খোজ রাখেনা।অনেক কষ্ট হয়।সারাটা দিন ডেস্ক এ বসে কেদেছি।ক্কত চেস্টা করলাম, কাজ করার যাতে সব ভুলে থাকা যায়, পারিনা, একটু কাজ করি , বেশিক্ষন কাদি।ভাইয়ার জন্মদিন ছিল, বাসায় ফোন দিলাম।খামাখা মাকে বকাবকি করলাম।পরে আবার ফোন করে বললাম মেজাজ খারাপ ছিল রাগ করোনা।রান্না করছিল মা, কেদে দিল,বলে এত ভাল ভাল রান্না করি তুই খেতে পারিসনা।আমি আমার বাবা মাকে অনেক ভালবাসি।কিন্তু অনিক কে ভুলতে পারিনা যে, ওকে কি ভালবাসি এখনো? নাকি নিজের বার্থতা মেনে নিতে কষ্ট হয়? কোথায় কমতি ছিল আমার ভালবাসায়, এমন করে সব শেষ করে দিলে? আল্লাহ এর কি এই বিচার?বিকেলে কিছু বাজার করলাম, বাসায় এসে রান্না করলাম।এইতো শেষ দিন।আরো একটা দিন জীবন এর পার করে দিলাম, কেন যে এখন বেচে আছি? আমার শ্বাস এখন চলে। আল্লাহ আর কত কাদাবে?ঠিক এই মুহুর্তে আমার দু চোখ বেয়ে পানি পড়ছে , অনিক কি করছে?? বউ এর সাথে নাকি বন্ধুদের সাথে, যেখানেই থাকুক ওকে সবাই ভালবাসে।আমি শুধু পারলামনা……

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




