আমি একজন ছোট ব্লগার।মানুষটাও ছোট আমি।ব্লগে লেখালেখি শুরু করেছিলাম অনেকটা শখের বশেই।তাও মাত্র কয়েকমাস হোল।
ব্লগ মানেই যে কীবোর্ড এ টাইপ করে লেখালেখির মাধ্যমে সব কিছু উদ্ধার করে ফেলা ব্যাপারটা এরকমই প্রথমে ভেবেছিলাম।

কিন্তু না পরে দেখি ব্যাপার সম্পূর্ণই ভিন্ন।অসুস্থ রুহান কে সাহায্য থেকে শুরু করে মাঠের কাজে অনেক ব্যাপারেই ব্লগ অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।বলতে পারেন আমাদের কোন কাজ শুরু করার পূর্বে জনমত আদায় ও ঐক্যবদ্ধ হওয়াতে ব্লগ দারুন ভূমিকা পালন করেছে।

সামুতে অনেক বড় বড় ব্লগার আছেন যারা একটা পোস্ট দিলে অনেক সাড়াশব্দই পান।যাদের প্রভাব সামু সহ অন্যান্য ব্লগে ব্যাপক।তাদের পোস্ট স্টিকি হয়।প্রথম পাতায় স্থান পায়।

আমারও দুটো পোস্ট পূর্বে নির্বাচিত পাতায় স্থান পেয়েছিল।স্বাভাবিক ভাবেই একজন নতুন ব্লগার হিসেবে ভাল লেগেছিল এবং আমি আরও অনুপ্রানিত হয়েছিলাম।সেই জন্য সামুকে অনেক ধন্যবাদ।

কিন্তু কষ্টটা ঠিক তখন পেয়েছি যখন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সহায়তার জন্য পোস্ট দিয়েছিলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা হাত পেতেছেন আমাদের কাছে!!!! কিন্তু সামু এ ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ ই করেনি।কোন বড় বড় ব্লগার উনার সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিবেন এমন কোন আশ্বাস ও আমি পাইনি।

আপনার সবাই বেস্ত শাহবাগ,হেপাজত এগুলো নিয়ে।সামুও তো সেই স্রতেই গা ভাসিয়ে দিয়েছে।আসলেই আপনাদের সময় কই।আর আপনাদের কি এমন ঠেকা পড়েছে একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবন থাকবে নাকি থাকবেনা তা নিয়ে ভাবার।

আমি নিজে ওই পোস্ট টা লিখিনি।শুধু অনলাইন পেপার থেকে কপি পেস্ট করেছিলাম নিজের বিবেকের তাড়নায়।ভেবেছিলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য কেও হয়তো এগিয়ে আসবে।এসেছিল আমার পোস্টে কিছু কমেন্ট।কিন্তু এতো গুলো টাকা তো কিছু মানুষ দিয়ে যোগার করা সম্ভব নয়।ভেবেছিলাম সামু হয়তো এগিয়ে আসবে।কিন্তু না কিছুই হয়নি।সামু বেস্ত কে কিরকম ফটো তুলেছে হেপাজত কি করলো এগুলো নিয়ে।

আমি কোন নামকরা ব্লগার নই তাই হয়তো ওই মুক্তিযোদ্ধার সাহায্যর ব্যাপারে বিশেষ কোন ভূমিকা পালন করতে পারলাম না।আমি জানি এই পোস্ট টি ও হয়তো অনেকের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে।কেও হয়তো পরবেই না আবার কেওবা পরেও নীরবে চলে যাবে।আসলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধর চেতনা এখন শুধু শাহবাগ কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

এখানে আমি শুধু আমার মনের কথা গুলোই তুলে ধরলাম।