নারীর অধিকার বিভিন্ন জাতিতে: হিন্দু ধর্মে নারী।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
হিন্দু ধর্মে নারীর কোন সম্মান ও মর্যাদাই নাই, সতীদাহের মত অমানবিক, নির্মম-নিষ্ঠুর প্রথা হিন্দুধর্মের অংশ ছিল। কোন নারী সৌভাগ্যক্রমে স্বামীর জ্বলন্ত চিতা থেকে রেহাই পেলে, তাকে পদে পদে এমন তিরষ্কার করা হত, সে নারী বাঁচার চেয়ে মরন যন্ত্রনাকে উত্তম বিবেচনা করত। হিন্দুদের মধ্যেও বহু বিয়ে প্রথার ইতিহাস আছে। ইতিহাসে প্রমানিত রাজা দশরথের তিনজন, মাহারাজা ধ্রুবের পাঁচজন, পাঁন্ডুর দুইজন, অর্জুনের তিনজন স্ত্রী ছিল। স্বামী হল নারীর দেবতা, সে কখনও তালাক পাবেনা, স্বামী স্ত্রীকে যত অত্যাচারই করুক, তাকে স্বামীর কাছেই থাকতে হয়, নারী স্বাধীন হবার যোগ্য নয়, তার কোন ইচ্ছা আখাঙ্খা থাকতে পারেনা। শয্যাপ্রিয়তা, অলঙ্কারাসক্তি, ব্যভিচারের ইচ্ছা, কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, মিথ্যা এবং পুরুষ দেখলেই মিলনের ইচ্ছা নারীর স্বভাবজাত বদ খাসিয়ত। পুরুষ পৃথিবীতে পাপ করলে পরজনমে নারী হয়ে জন্মাবে। নারী জাতি হীন, পাপমুর্তি, বিশ্বাসের অযোগ্য এবং দাস সম্প্রদায়ভুক্ত। কোন মানুষকে এক হাজার মুখ দিয়ে, প্রতি মুখে হাজার বছর নারীর বদনাম করলেও নারীর দোষ বর্ণনা শেষ হবেনা। ধন-সম্পদ, শিক্ষায় নারীর কোন অধিকার নেই। নারী থেকে কোন পরামর্শ নেয়া যাবেনা এমনকি পরামর্শের সময়ে নারীকে কাছেও রাখা যাবেনা।
পূর্বকালে কণ্যা যখন প্রথম ঋতুবর্তী হত, তখন তাকে মন্দিরের প্রাঙ্গনে রেখে আসা হত, ছেলেদের দঙ্গল সেখান থেকে বাছাই করে, কুমারী কণ্যাদের তুলে নিয়ে জঙ্গলে চলে যেত, তাকে ধর্ষন করার পর পিতা-মাতার কাছে ফেরত দিত। সবার বিশ্বাস ছিল এতে কণ্যা পবিত্রতা অর্জন করেছে; পিতা-মাতা খুশিতে বাড়ী ফিরে মানুষকে দাওয়াত দিত, ধুমধাম করত ও পূজার আয়োজন করত। কখনও কখনও সুযোগ সন্ধানী ছেলেরা, কুমারী মেয়েদের বাড়ী থেকে তুলে নিত, দেখা যেত কারো সুন্দরী গৃহবধুকে এভাবে তুলে নেয়া হয়েছে। এই ছিল সামাজিক ভাবে নারীর মর্যাদা! এই আইনের কারনে নারীরা কতটা অসহায় ছিল, চোখ বন্ধ করলেই দৃশ্যপটে ভেসে উঠবে। চলবে.....
সুপ্রিয় পাঠক, আগের পর্বে বৌদ্ধ ধর্মে নারীর অধিকার সর্ম্পকে লিখা হয়েছিল। আশা করি নিচের লিঙ্কে গিয়ে পড়ে নেবেন।
View this link
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন