somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফরহাদ মজহার একজন ভাবি নিঃসঙ্গ পথিক

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কত বড় বুকের পাটা থাকলে একজন কলম শ্রমিক অনুরাগীদের বেস্টনী থেকে বেরিয়ে অবশেষে একা হয়ে যেতে পারে।কবি অতঃপর ঔষধবিদ অতঃপর ঔষধ কারিগর অতঃপর তাত্ত্বিক অতঃপর দার্শনিক কৃষক এবং প্রতিস্ঠান সমালোচক রাজনীতিবিদ এবং ধর্ম প্রবক্তা সর্বশেষে হয়ত ভাবি নিঃসঙ্গ পথিক।তিনি অনন্য প্রতিভাবান ফরহাদ মজহার।যারা দর্শন বিদ্যায় হাসে হাঁটে ঘুমায় ভাবে ও বানিজ্য করে সেই সব ক্ষনজন্মাদের আদর্শ মানুষ।ফরহাদ ভাবে চৈতন্যে কখনই কেবল একজন পুরুষ নয় প্রকৃতির সাথে যুক্ত হয়ে সে একজন মানুষে পরিনত হয়েছে।এই পোড়া বাংলায় কয়জনেরই বা এমন ভাগ্য হয়েছে যার ভেতর পুরুষ প্রকৃতি যুগপৎ বিরাজিত।
তাঁকে বীরত্ব বলা যায় কারন জগতের সর্বশ্রেস্ঠ অদৃশ্য কবিকে "এবাদত নামা " য় এক হাত দেখিয়ে দিয়েছেন।তিনি বাক্যহীন অস্তিত্ব নতুবা জগত আধুনিক দুই অনবদ্য কবির লড়াই উপভোগ করতে পারত।
যাকে মানুষ চিনে না তাকেই মানুষ একাধারে মহিমান্বিত করতে পারে।এটা মানুষের অজ্ঞতা প্রসূত উদার স্বভাবের কাজকাম।অন্যদিকে যাকে চিনতে না পেরে অজ্ঞতা প্রসূত হীনতায় অপদস্হ ভাবে এটাও মানুষের স্বভাব।মোদ্দা কথা মানুষ নিজেকে ছাড়া আর কাউকে চিনতে পারে না।ক্ষনিকের জন্য পারলেও তা স্হায়ী হয় না।
মহামহর্ষিরা বলেছেন"নিজেকে জানো তা হলে পরমকে জানতে পারবে"।এটা একটা কথার কথা,মন ভোলানো বানী।আসল কথা হলো প্রতেবেশী বস্ত্ত ও শক্তি জগতকে যত জানবে জগত তোমার কাছে ততই পরিস্কার হতে থাকবে।
আমার কাছে কবি ফরহাদ মজহার সত্যকারের চৈতন্যবান কবি।তিনি তার প্রতিবেশী বস্ত্ত ও শক্তির মধ্যে ছন্দ মাএা ও লয় খুজে ফেরেন।উপমা অনুপ্রাস,শব্দ শব্দের সন্তান সন্তন্তি দিয়ে তিনি তা গ্রন্হনা করেন।কিন্তু অদ্যাবধি নিজেকে ছাড়া কাউকে চিনতে পারেন কিনা তার কোন প্রমান নেই।ফরহাদকে সর্বশেষ তার মফস্বল শহরের বাড়ীতে দেখেছি কিন্চিৎ কথাও হয়েছে এবং তিনি মুসলিম পন্ডিত ও মনীষীদের নতুন করে চেনার চেস্টা করার কথা দিয়েছেন।আমি জানি চেনা হবে না তবে মনীষীদের নব জন্ম লাভ হবে কবির রচনায়।আসলে সব সৃস্টিশীলই কবি।তারা বিজ্ঞানী হন বা অর্থনীতিবিদ বা রাজনীতিবিদ,দার্শনিক অথবা কৃষিবিদ যাই হোন না কেন।এরা কিছুই চিনতে না পারার ফলে নব নব সৃষ্টি করতে পারছেন।সৃষ্টি করতে হলে অজ্ঞ থাকার বিকল্প নেই।
মানুষ যাকে ভালো লাগে মনে রাখে।এই মনে রাখার ভেতর কবি ফরহাদ মজহার কতকাল বেঁচে থাকবেন তা কেউ জানে না। তার হ্য়ত ইচ্ছা তাকে সর্ব স্তরের মানুষের ভাল লাগুক। এজন্যই হ্য়ত তিনি নিজ ধর্ম ,অধর্ম, বিধর্ম ,ধর্ম ও অপরাপর সব কিছুতে আছেন।তার সাধ্যানুসারে তিনি খেলাধুলাতেও ছিলেন।তিনি একজন ঘুড়ি কাটার যাদুকর এ কথা তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না ।দূর মেঘ মুক্ত আকাশে উড়ে যাওয়া ঘুড়ি নাটাই মালিকের হাতে ,সুনিপুন হাতের ইশারায় ঐ ঘুড়ি অন্য ঘুড়িকে তন্তু চ্যুত করার শক্তি পায়।নিরূপম ঘুড়ি দুরে কোথাও নিপতিত হয়।ফরহাদের ঘুড়ি গৌরবে আকাশে উড়তে থাকে।কবির ভেতর কাটাকাটি করে টিকে থাকার প্রবনতা সেই থেকে । নিঃসঙ্গ আকাশে উড়ন্ত ঘুড়ি আর নিঃসঙ্গ বালক ফরহাদ।কেটে কেটে একা হয়ে যাওয়া এ বড় কম কথা নয়।একটু ভাবলে তার এ যাবৎ কালের জীবনে নানা ভাবে নানা কায়দায় নিঃসঙ্গ হয়ে যাওয়ার তথ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়।
পড়েছেন ফার্মাসি, কবিতার ভেতর ফার্মাসিস্ট ফরহাদ মজহার নিঃসঙ্গ হলেন।ছিলেন জৌলুসের নিউইর্য়কে জাফর উল্ল্যার গন স্বাস্হ কেন্দ্রের ঘেরাটোপে পড়ে নিঃসঙ্গ হলেন।তার জীবনে নিঃসঙ্গতার মিছিল।বাংলাদেশের সব নমঃস্ব পন্ডিতেরা তার সাহচর্য্য পেয়েও তাকে নিঃসঙ্গ ফেলে মনি কান্চন ও দাপটে অনেক বেড়েছেন।কবি ফরহাদ এতে খেদ নেই।
অন্ন পরিধেয় বাসস্হান তার নিরাপদ। তিনি কাছা মেরে কৃষকের বন্ধু সেজেছেন।বাউলের সঙ্গে মেতেছেন।তারা কেউ তাকে চিনে না তিনিও কাউকে চেনেন না ।সব কিছুতেই থেকেও ফরহাদ নিঃসঙ্গ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:১০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×