ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক খুনের এক সপ্তাহের মধ্যে রংপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন জাপানের এক নাগরিক...আজ শনিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে...তিনি একজন নিরীহ পর্যটক ছিলেন...
এই হত্যাকাণ্ডগুলো কী উদ্দেশ্যে কারা ঘটাচ্ছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর...তবে একজন মাথামোটা সাধারণ মানুষ হিসেবে শুধু এটুকু বুঝতে পারছি দেশজুড়ে পেট্রল বোমা মেরে এদেশি মানুষ মেরে খুব একটা সুবিধা হয়নি তাই হয়তো এবার টার্গেট বিদেশিরা...
তবে টার্গেট হিসেবে বিদেশিদের বেছে নেয়াটা অতি উত্তম কাজ হয়েছে...অব্যর্থ ওষুধ এবার কাজ হবেই...আরেকটা ব্যাপার হলো, যাক বাবা মরলে মরবে বিদেশিরা...আমরাতো অন্তত নিরাপদ রইলাম...তবে এই হত্যাকাণ্ডগুলোর বিপরীত দিকও রয়েছে...
এই যে জাপানী পর্যটককে মারা হলো...অন্যসব সেক্টরের কথা বাদ দিলাম শুধু পর্যটন সেক্টরের কথা বলি...বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন জাপান থেকে...এমনকি তথাকথিত লাগাতার অবরোধ আর পেট্রলবোমা হামলার সময়ও তারা এসেছেন...এই তথ্যটা জানি কারণ আমি পর্যটন বিষয়ে টুকটাক লেখালেখির চেষ্টা করি...
আগামী অর্থবছরকে ঘোষণা করা হয়েছে পর্যটনবর্ষ হিসেবে...পর্যটন বর্ষের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম...আর বাংলাদেশের কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের অন্যতম অতিথিরা হচ্ছেন জাপানীরা...তাহলে তো ভালই হলো আমরা আজ সেই অতিথিদের একজনকে আজ সকালে বন্দুকের গুলি দিয়ে বরণ করে নিলাম...
জাপানের জনগনের অর্থ সহায়তায় পরিচালিত জাইকার বাংলাদেশে কার্যক্রমের কথা নাইবা বললাম...কারণ ওটা বলতে গেলে ২০০ থেকে ৩০০ পৃষ্ঠার প্রবন্ধ লিখতে হবে...
শুনেন শুধু আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় হলেই এই বিদেশি নাগরিকদের গুপ্তহত্যা বন্ধ হবে এইটা ভুল...আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে...বিশ্বাস করুণ সবাইকে...তা না হলে আপনার আমার সকলের জন্য ভয়ঙ্কর ভবিষ্যত করছে...
শুধু ভয়ঙ্কর না ভীষন ভয়ঙ্কর...মনে রাখবেন এ এক নতুন যুদ্ধের শুরু হতে যাচ্ছে যেখানে আমি আপনি আমরা কেউই নিরাপদ না...নতুন যুদ্ধর প্রস্তুতি নেন সবাই...পাগলের প্রলাপ মনে করে মুচিক মুচকি হাইসেন না...এ আমি বলে রাখলাম...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩