সুরা আল কদরে বলা হয়েছে যে ’নিশ্চয়ই আমি উহা (আল কুরআন) অবতীর্ণ করে কদরের রাত্রিতে।যেহেতু এ পৃথিবীতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে দীর্ঘ ২৩ বছর সময়কাল নিয়ে, নির্দিষ্ট কোন রাত্রিতে বা দিনে নয় তাই এর ব্যখ্যা করা হয় যে কুরআন সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কুরআন আরশ থেকে প্রথম আকাশে অবতীর্ণ করা হয়েছে।
যদিও আমরা যে নীলিমা দেখি তা আকাশ নয়, ধরে নিলাম আকাশেই প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে, প্রশ্ন হল রাত্রি দিনের প্রশ্ন তো এ পৃথিবীর ক্ষেত্রে আসে।কারন দিন-রাত্রি হয় সূর্যের কারনে। আকাশে দিন রাত্রির প্রশ্ন তো আসেই না। যদি কেউ এভাবে ব্যখ্যা করেন যে আকাশে কুরআন যখন অবতীর্ণ হয় তখন পৃথিবীতে রাত্রি ছিল। একথাও গ্রহণযোগ্য নয়।কারন সমগ্র পৃথিবীতে একইসাথে কখনও রাত্রিও থাকে না আবার দিনও থাকে না।
আরো কিছু প্রশ্ন আসে, তাহল-
১. স্রষ্টা যদি কিতাব পাঠাবেন তাহলে জিব্রাইলের মাধ্যেমে কেন? ইসলামের দৃষ্টিতে জিব্রাইলের চেয়ে মুহাম্মাদ (স এর মর্যাদা বেশি। যার মর্যাদা বেশি তার কাছে বাণী সরাসরি না পাঠিয়ে কম মর্যাদার সৃষ্টির মাধ্যমে কেন পাঠাবেন?
২. কুরআন মানুষের জন্য। সুতরাং ইহা মানুষের কাছে পৌছা বা না পৌছাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথম আকাশে অবতীর্ণ হওয়ার কোন অর্থো কি আছে?
যে কারনে কুরআনকে আল্লাহর বাণী হিসাবে বিশ্বাস করা যায় না- এ বিষয়ে পূর্বে দু’টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।লিঙ্ক নিম্নে দেয়া হল:
আকাশ সম্পর্কে আল কুরআন ও বিজ্ঞান
ইসলামে নারী র্মযাদা ও গুরুত্ব:একটি বশ্লিষেণ
পর্দার সুফল-কুফল: একটি বিশ্লেষণ