তিস্তার পানি চাই না, পানি চুক্তির দরকার নাই- এমন দাবি তুলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টান দিকে উপজেলার পারুলিয়ার চরে প্রখর রোদে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে তিস্তা পূর্ব তীর রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এবার তিস্তার পানি না আসায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ২৬টি ইউনিয়নের ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টাসহ বিভিন্ন চাষাবাদ হয়েছে।
এছাড়া ৬০ হাজার পরিবার তাদের বসত বাড়ি ফিরে পেয়েছে। যে কারণে তিস্তার পানি না আসাটাই উত্তম।
নেতারা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, সৌদি আরবে নদী নেই, সেখানে জীব বৈচিত্রের ওপর কোনো বিরুপ প্রভাব পড়ে না। আমাদের এ অঞ্চলে নদী না থাকলে পুরো এলাকা জুড়ে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। তাছাড়াও বন্যা ও নদী ভাঙনের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও এ অঞ্চলের মানুষ রক্ষা পাবে।
অধ্যক্ষ সারওয়ার হায়াত খান তিস্তার পানি চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তিস্তার পানি চাই না, পানি চুক্তির দরকার নাই। ভারতের গজলডোবা ব্যারাজে সব পানি আটক রেখে তিস্তা নদী আবাদ যোগ্য করা হউক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পদক নুর মোহাম্মদ, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন, সম্পাদক আব্দুল লতিফ, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আসাদুজ্জামান লাভলু ও যুবলীগ নেতা আমিনুর রহমান প্রমুখ।
তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে সারা দেশ আন্দোলিত এমন সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্রু প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা সিপিবির সভাপতি আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে জানান, হয়তো বা তারা কোনো মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ করছেন। Click This Link