আসুন স্বাধীনতা দিবশের উপরে মতিকন্ঠের সংবাদ পড়ে, নতুন ভাবে অন্যকিছু জানি-

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাজাকারদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করল জামায়াত

ঢাকা, মার্চ ২৬ (মতিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) — মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাজাকারদের।

রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে জাতীয় দিবস পালন করা হলেও জামায়াত ব্যক্তিগতভাবে দিনটিকে শোক দিবস হিসাবে পালন করে।

শনিবার ভোরে ঢাকার অদূরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হয় শিশ-কিশোর সমাবেশ। ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মৃতিসৌধের কর্মসূচি শেষে শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। সেখানে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও ফুল দেয়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্মৃতিসৌধে এবং সকাল পৌনে ১১টায় শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, রাজাকার পূণর্বাসণে অগ্রনী ভূমিকা পালনকারী, ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেন দলের নেতারা। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরব থাকায় জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে পারেননি। এসময় তিনি বাদশাহ আবদুল আজীজ (ইবনে সৌদ) এর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জামায়াতের আয়োজনে কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর কবরে কাওয়ালী গান পরিবেশিত হচ্ছে

অন্যদিকে করাচিতে কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর করবে কাওয়ালী গানের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে সাভার স্মৃতিসৌধের বেদি ভরে উঠলেও পুটুমারা খাবার ভয়ে জামায়াত নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে যাবার সাহস করে উঠতে পারেনা কখনো।

শনিবার মগবাজারের বাল-ফালানি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জামায়াতের আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অবদান রাজাকারদের। পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে যেসব রাজাকার অকাতরে নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিল তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে রক্ষা করা কঠিন। বাকশালি সরকার স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারছে না। একাত্তরে দেশের জন্য প্রাণ দেয়া রাজাকারদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। তিনি অবিলম্বে জামায়াতে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বাকশালি সরকারকে অবিলম্বে দেশের দায়িত্ব বিএনপি ও জামায়াত জোটের হাতে ছেড়ে দিতে বলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে বিএনপি ও জামায়াত জোট দেশের স্বাধীনতা পাকিস্তানের নিরাপদ হাতে জমা রাখবে।

Click This Link