somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা অরণ্যে চালাচেছ কম্পু ক্যারাতেসহ অস্ত্র প্রশিক্ষন

২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(কক্সবাজার নিউজ ডট কম):
সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ফের সংগঠিত হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের দুটি পাহাড়ের গহীন অরন্যে কম্পু- ক্যারাতে ও অস্ত্র চালনার ট্রেনিং নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসী ওই সব রোহিঙ্গারা কক্সবাজার - টেকনাফ মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনের ডাকাতিও সংগঠিত করে চলেছে প্রতিনিয়ত। মঙ্গল বার দিবাগত রাতে প্রধান সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে টেকনাফের কেরুনতলী নামক স্থানে ২টি গাড়ীতে লুটপাট চালিয়েছে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা। যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহি ট্রাকে রোহিঙ্গা ডাকাতরা তান্ডব চালিয়ে নগদ টাকা মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে।
ডাকাত আক্রান্ত বোয়ালখালীর আহম্মদ নবী জানান,প্রায় ১৫ জনের মুখোশ পরা সশস্ত্র ডাকাত দলের কথা বার্তায় তাদেরকে রোহিঙ্গা বলে ধারনা করা হয়েছে।
জানা গেছে,বান্দরবানে বসতি স্থাপনকারী এনায়েত নামের এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবির ও রোহিঙ্গা বস্তি থেকে বখাটে যুবকদের নিয়ে নতুন ভাবে রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে উখিয়া থানা পুলিশ ও ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ-আনসার সদস্যরা একাধিক বার অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী এনায়েতকে ধরতে পারেনি।ওই সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা দলপতি বখাটে যুবকদের নিয়ে কুতুপালং ও কেরুনতলীস্থ গহীন অরণ্যে অস্ত্র পরিচালনা, ক্যারাতেসহ বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে চলছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। পুলিশ- জনতার ঘেরাওকালিন আটক ও গণপিটুনীতে নিহত বনের রাজাখ্যাত রোগিঙ্গা সন্ত্রাসী দলনেতা ইউনুচের সেকেন্ড ইন কমান্ড এনায়েত কয়েক বছর ধরে বান্দরবানসহ বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে থাকে। মাসখানেক পূর্বে কুতুপালং শিবিরে হঠাৎ করে এনায়েতকে দেখে নিরীহ রোহিঙ্গারা আতংকিত হলেও আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা। তাকে অচিরে গ্রেফতার করা না হলে শিবিরে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতিসহ নাশকতামুলক ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সুত্রে আরো জানা গেছে,মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আরএসওসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এবং সংগঠন এখানে সংগঠিত হওয়া নিয়ে প্রশাসনসহ স্থানীয় অধিবাসীদের ভাবিয়ে তুলেছে। গত বছর কক্সবাজার জেলায় ভোটার তালিক হালনাগাদের সময় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের বাদ দিতে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রনয়নের খবরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাওসহ মানববন্ধন কর্মসুচী পালনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ছিল। ইউএনএইচসিআরসহ কয়েকটি এনজিও রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করে তাদের স্বার্থ হাছিলের অপতৎপরতায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সামপ্রতিক সময়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গা গ্রেফতার অভিযান শুরু হলে গ্রেফতার এড়িয়ে অনেকে শিবিরে এবং গহীন বনাঞ্চলে গা ঢাকা দেয়। রেহিঙ্গাসহ এনজিও গুলোর এ ধরনের দেশ বিরোধী কার্যকলাপের ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সরকারের উধর্বতন মহলে অবগত করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সীমন্তেও বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা এদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় নির্মণ করা হয় ২টি শরনার্থী ক্যাম্প। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২টি ছাড়াও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ২লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু। এদের নেতৃত্বে রয়েছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা নেতা। আর এদের পুঁিজ করে ফায়দা হাছিল করছে ইউএনএইচসিআরসহ কয়েকটি ইসলামিক এনজিও এবং মৌলবাদি একাধিক সংগঠন। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে মিয়ানমারের আরএসও,নুপাসহ কয়েকটি বিচিছন্নতাবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসব সংগঠনে রোহিঙ্গা যুবকদের প্রলুব্ধ করে দলে এনে উখিয়ার বনাঞ্চলে দেয়া হচ্ছে সমর প্রশিক্ষনও। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যসহ বহিবিশ্বে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেয়া হচেছ। বহু কু-কর্মে রোহিঙ্গা নেতাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকাসহ পুঞ্জিভূত অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এদের মাধ্যমে উখিয়াকুতুপালং ও টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে একাধিক জঙ্গী সদস্যও আশ্রয় নিয়েছে গোপনে। এ নিয়ে শিবির গুলোতে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ডাকাতদের সুসংগঠিত করাটা রোহিঙ্গা নেতাদের প্রধান উদ্দেশ্যে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ ও বেচাকেনা মিয়ানমারে খবর পাঠিয়ে নতুনভাবে রোহিঙ্গা এনে শিবিরে দলভারী করণ ও শরণার্থীদের উস্কানী দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলানো,রোহিঙ্গা গ্রেফতার অভিযানে ভাটা এবং প্রত্যাবাসন বিরোধী আন্দোলনমুখী করার অভিযোগ উঠেছে ওই রোহিঙ্গা নেতাদের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন ও দেশের প্রচলিত আইন বিরোধী ওইসব কর্মকান্ড অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আন্দোলনমুখী ও প্রশিক্ষন নেয়া সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা যে কোন সময় এখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটাতে পারে বলে সচেতন মহল মতামত ব্যক্ত করেছেন। যেসব রোহিঙ্গা ও এনজিও সংস্থা সরকারও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে এসব সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের কালোতালিকাভুক্ত করে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ ব্যাপারে তড়িত ব্যবস্থা নিতে জেলাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×