গত শতকের ষাট এর দশকে দুই পরাশক্তির স্নায়ুযুদ্ধ যখন তুঙ্গে সেই অস্থির সময়ে যুদ্ধবিরোধী এই অমর গানটি রচিত হয়। পৃথিবীর সমস্ত শান্তিকামী মানুষের কাছে এটি শুধুই একটি গান হয়ে আর থাকেনি, ক্রমেই পরিনত হয়েছে একটি কিংবদন্তীতে। শিল্পের গণ্ডী কখনোই মানচিত্রনির্ভর নয়, তাই বিভিন্ন দেশের নানান শিল্পীই পরবর্তীতে এই গানটি গেয়েছেন। বিগত পাঁচটি দশকে সংঘটিত সকল যুদ্ধেই এই গানটি ছিল স্মার্ত, বুলেট-বারুদের বিপরীতে বারবার শোনা গেছে গানটির ছত্রগুলো।
প্রখ্যাত মার্কিন ফোক গায়ক পিট সিগার এর রচয়িতা। তবে অসাধারণ লিরিকপুষ্ট এই গানটিকে পিট সিগার নিজেও সম্পূর্ণ তাঁর মৌলিক চিন্তাপ্রসূত বলেন না। না বলবার অবশ্য কারণও আছে। পেছনের গল্পটা ছোট করে বলা যাক। সিগার এই গানটি লিখতে উদ্বুদ্ধ হন মূলত মিখাইল শোলোকভ এর এ্যান্ড কোয়াইট ফ্লোওস দ্য ডন উপন্যাসে বর্ণিত ইউক্রেনিয়ান লোকগীতির কিছু চরণ পড়বার পরে, যেগুলোর ভাবার্থই ফুটে উঠেছে আসলে 'হ্য়্যার হ্যাভ অল দ্য ফ্লাওআর্স গন' সিঙ্গেলটিতে। শোলোকভের লেখায় পাওয়া সেই ইউক্রেনিয়ান লোকগীতির চরণগুলো সিগারকে এতোটাই স্পর্শ করেছিল যে, তিনি তার নোটবুকেও তা টুকে রেখেছিলেন। পরে এক বিমানভ্রমণের সময় তিনি সেই চরণগুলো তার নোটবুকে লেখা দেখতে পান এবং তা নিয়ে একটি গান রচনার পরিকল্পনা করেন। ঐ মূল লোকগীতিটি তিনি অনেকদিন ধরে খুঁজেও কোথাও না পেয়ে নিজেই লিখে ফেলেন গানটির প্রথম কয়েকটি পংক্তি। মূলত এই কারণেই তিনি গানটিকে সর্বাত্মকভাবে তার নিজের মৌলিক সৃষ্টি বলে দাবী করেন নি। তার উপর, গানটির পরবর্তী অংশ রচনা করেছেন অন্য আরেক খ্যাতিমান মার্কিন ফোক গায়ক জো হিকারসন। এতে সুরারোপ করেন সিগার। ১৯৬০ এ পিট সিগার গানটি রেকর্ড করেন, এমনকি কয়েকটি টিভি শো-তেও এই গানটি পারফর্ম করেন।
কালজয়ী এই গানটির পিট সিগারের মূল ভার্সনটি নামিয়ে নিতে পারেন এই লিঙ্ক থেকে- Click This Link)
আমার কাছে অবশ্য পিট সিগারের ভার্সনটির চেয়ে ঢের বেশী শ্রুতিমধুর মনে হয় অন্য আরেকটি গানের দল কিংস্টোন ট্রায়ো'র ভার্সনটি। যেটা ৬১ তে রেকর্ডকৃত। কিংস্টোন ট্রায়ো'র 'হয়্যার হ্যাভ অল দ্য ফ্লাওআর্স গন' ভার্সনটি নামিয়ে নিতে পারেন এই লিঙ্ক থেকে - Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




