۞۞ সন্তানকে শাস্তি প্রদানে মায়ের অভিনয় ۞۞
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমাদের পারিবারিক জীবনে সন্তানদের শাস্তি প্রদানের এক অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী ভূল প্রথা প্রচলিত রয়েছে। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এই প্রথার প্রচলন রয়েছে। তা হল শাস্তি প্রদানে মায়ের অভিনয়। শুনুন তাহলে তার ব্যাখা। মনে করুন, আপনার শিশু এমন একটি অন্যায় বা অপরাধ করেছে- যা অবশ্যই শাস্তির উপযুক্ত। যেমন, দিনভর সে বাড়ী থেকে উধাও হয়ে রইল। কোথায় আছে, কি করে বেড়াচ্ছে, কেউ জানে না। কিন্ত যে সময়টা তার বাবার ঠিক বাড়ী ফেরার, তার পূর্ব মুহুত্বে সে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে গেল। তখন আপনি জিজ্ঞেস করেন, দিনভর কোথায় ছিলি? সত্যি কথা বল। কিন্তু প্রত্যুত্তরে সে কিছুই বলে না। অবশেষে আপনি বিরক্ত হয়ে তার বাবার নিকট বিচার দিবেন বলে হুমকী দেন যে, আজ আসুক তোর বাবা। সারাদিন বাইরে ঘোরা ফেরা করার মজা দেখিয়ে ছাড়ব। এত কিছুর পরেও শিশু কোথায় ছিল কিছুই বলে না। অতঃপর শিশুর বাবা যখন বাসায় ফেরেন তখন আপনি অভিযোগ ও করেন যে, আপনার সন্তান সারাদিন বাইরে বাইরে ছিল। ঠেং ভাঙ্গুন এক্ষুনিই। কোথায় ছিল? কাদের সাথে ছিল? জিজ্ঞাসা করুন। তখন বাবা শিশুর এই চাল-চলনও অসদাচরণ বড় জগন্য অপরাধ বলে বিবেচনা করেন এবং তাকে কঠোর শাস্তি দিতে উত্তেজিত হন। তাকে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজনও রয়েছে বটে। ঠিক ঐ মুহত্বে আপনার হৃদয় সাগরে ভালবাসা, স্নেহ-মমতার বন্যা বয়ে যায় এবং আপনার স্বামীর ক্ষোধ প্রশমিত করতে আর নয়নমনি আদরের সন্তানকে রক্ষা করতে, তাকে আড়াল করতে, খুব অনুনয়, বিনয় করতে থাকেন যে, ওকে ক্ষমা করে দিন, ওকে মাফ করে দিন। এর ফলশ্রুতিতে শিশুর দুঃসাহস বেড়ে যায় এবং তার অন্তর এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয় যে, স্নেহময়ী মা জননী যতদিন এ বিশ্ব বসুন্ধরায় জীবিত আছেন, কেউ আমাকে শাস্তি দিতে পারবে না। পক্ষান্তরে আপনি মনে মনে আনন্দ অনুভব করেন যে, মাতৃস্নেহের হক আদায় করে দিলাম। এ ক্ষতিকারক ভুল স্নেহ-মমতা আপনার শিশুকে অধিকাংশ অপরাধ ও অন্যায়ের পথে চলার স্বাধীনতা দান করে।
একজন “আদর্শ মা” হিসেবে আপনার কর্তব্য এটাই ছিল যে, নিজেই শিশুকে কিছু শাস্তি দিয়ে দেওয়া এবং তার বাবার কাছে অভিযোগ উত্থাপন না করা। এখন যেহেতু অভিযোগ করা হয়ে গেছে, তখন শিশুকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আপনার স্বামীকে সুযোগ দেওয়া এবং বাধা না দেওয়া কর্তব্য। এক্ষেত্রে অতিশয় আদর দেখিয়ে আপনার ভুল সিদ্ধান্তের কারনে শিশুর চারিত্রিক অবক্ষয়ের দ্বার উম্মুক্ত হয়। এই শিশু বড় হয়ে পড়ে বে-পরোয়া, উচ্ছূখল, সন্ত্রাসী, সমাজের কলন্ক।
সুত্রঃ
"আদর্শ মা"
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন