somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ-টীমের জন্মদিন উপলক্ষে পোষ্ট: আমি কেন এ-টীমে ঢুকলাম (রাজাকার ও সুশীলবাদে সবাইকে উৎসর্গ)

২০ শে মে, ২০০৮ রাত ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইশকুল লাইফ থিকা দেকতাছি। এই পোলাপানগুলা টীচারগো গুডবুকে থাইকা ক্লাস ক্যাপ্টেন হয়, সহপাঠীর নাম ব্লাকবোর্ডে টুকে রাখার থ্রেট দেয়, চ কইলে চুদির ভাই কইছে বইলা নালিশ দেয়। এরা ভাজ মাছ উলটায় খাইতে জানে না, তয় আড়াল পাইলে মাইয়াগো গতরে হাত দেয়। এইগুলাই বড় হইয়া সুশীল হয়, এরে এই কইরো না, তারে খুব খারাপ কইয়া তাড়ায় আসে, কারো সাথে ঘৃনায় কথা কইতে তাগো তলপেট নাপাক হয়া যায়, তয় সুযোগ পাইলে পাবলিকরে পোংগা মাইরা চাংগে উঠায়া দেয়ায় এরা সিদ্ধহস্ত। মূলত এই পাবলিকগো ঠেংগানি দিতেই আমার এ-টীমে যোগদান।

ছাগুগো আমি তেমন দোষটোষ ধরি না। তারা নুন খাইয়া গুণ গায়। মগবাজারের টেকা হালাল করতে দেশের ইতিহাস নিয়া প্যাচপেচি করে। দুইটা গদাম লাথি দিলে কুঁই কুঁই করে সরে যায়। মগবাজার থন টেকা পাইয়া আবার সার্ভিস দিতে আসে। আবার লাথি খায়। ভাগে। এই সাইকেল চলতে থাকে। ছাগুর ম্যাৎকার বুঝতেও তেমন টাইম লাগে না। স্টেরিওটাইপড কাজকর্ম দেখলেই বুঝা যায় এইডা ছাগু।

সুশীলগো কেস ভিন্ন। তারা গাছের খাবে, তলারটাও টোকাবে। রাজাকার প্রতিরোধের সময় থাকবে না, রাজাকারগুলা গালি দিয়া ফাতা ফাতা করে ফেললেও তারা সেইগুলা নিয়া কথা বলে না। কিন্তু রাজাকারগুলারে গালি দিলেই তারা এসে ফতোয়া দেয় অগোরে বুঝায় কইলেই তারা ভালো হয়া যাইবো, রাজাকারি আর করবো না, গালি দিয়া মুখ খারাপ করার দরকার কি!

সুশীল ধরা একটু টাফ। গালি দিয়া মুখ খারাপের বিরুদ্ধে কিছু নতুন ব্লগারও প্রথমে অবস্থান নেয়। তাগো বিরুদ্ধে আমাগো কোনো অ্যাকশন নাই। কিন্তু যেইগুলা পুরানা হওনের পরেও সেই গালির ভাংগা রেকর্ড বাজাইতে থাকে, সেইগুলাই সুশীল ছাগু।

প্রত্যেকটা পুরানা ব্লগারই জানেন, ছাগুদেরকে যুক্তি-তর্ক, ঠান্ডা মাথায় অনেক বুঝানো হইছে, তারা সেইডারে পাত্তা তো দেয়ই নাই, দুর্বলতা মনে কইরা বেসবল ব্যাট নিয়া পিটানোর হুমকিতে গেছে। গালাগালির উদ্যোক্তাও তারা। একসময় রাসেল ছাড়া আর কেউই ছাগুগো গাইলাইতো না, সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। চেষ্টা করে বিফল হওয়ার পরেই যেমন কুকুর তেমন মুগুর নীতিতে গেছে। আমি নিজে অবশ্যি খুব অল্প সময়েই যুক্তি-তর্ক, অহিংস নীতি কাটায়া উঠছি। হাড়ির ভাত একটা টিপলেই অবস্থা বুঝা যায়, তার লাইগা পুরা হাড়ির ভাত টিপন লাগে না।

যা কইতেছিলাম, যেসব ব্লগার মাসের পর মাস কাটাইয়াও গালির কারণ ধরতারে না, রাজাকারদের গালি যাগো চক্ষে পরে না, সেইগুলা ছাগুগো চাইতে বড় শয়তান।

এ-টীম যখন অ্যাকশন শুরু করে, তখন এদের ব্যাপারে উৎসাহ দেখাই নাই। দলবদ্ধভাবে পরিকল্পনা করতো জামাতি ব্লগাররা। তারপরেও তারা ধোলাই হতো সবদিক দিয়াই। আমার এসব দলবদ্ধতা পলিটিক্স ভাল্লাগে না। ছাগুগো ঠাপাইতে আমার এ-টীম লাগে না। এ-টীমের কাজকর্ম দেইখা সাবাশ দেই; কিন্তু এ-টীমে ঢোকার খায়েশ মনে জন্মায় না।

পরে দেখি, এ-টীম ছাগুগো ঠাপাইতে ঠাপাইতে এই সুশীলগো দিকে তেমন নজর দিতাছে না। সুশীলগো খুশী রাখার একটা চেষ্টা তাগো মধ্যে কাজ করতাছে। সুশীলগো খুশী রাখা আমগো জ্বিনগত ব্যাপার। দাঁড়িটুপী দেখলে আমরা একজন লোককে সহজেই ভন্ড ভাবতারি না, মিষ্টি কথা কইলে একজনকে ধান্ডাবাজ ভাবতারি না। আজ হোসেইনের পোস্টে আমার মন্তব্যের স্টাইলে হোসেইন খুশী হইতে পারে নাই। এটাও সেইম কেস। আইরিন সুলতানা যথেষ্ট পুরানা ব্লগার হয়েও যদি গালি কেন দেয়া হয়, কাকে দেয়া হয়, রাজাকাররাই যে গালি বেশি দেয়-এগুলা না বুঝে, তাইলে তারে সুশীল ল্যাংগুয়েজে বুঝাইতে যাওনের দায়বদ্ধতা ফিল করি না। এ-টীমের অনেকেই এইডা করে।

যা কইতেছিলাম, এ-টীমের তখনকার অ্যাকশনে সুশীলরা লিস্টে থাকতো না। এ-টীমের পোলাপাইন ছাগু োন্দাইয়াও যেন সুশীলগো কাছে হালকা ভালো থাকার খায়েশ করতো। জিনিসটার পরিণাম ভয়ঙ্কর। রাজাকারের প্রতি মানবতা দেখানোর বাণী নিয়া আসা মহামানবকে আমি ভন্ড মনে করি, পাকি সৈন্যদের সহায়তাকারীরা যেমনে ৭১এ সুশীল বচন শুনাইয়া ৩০ লাখ মানুষ মারছে, এই সুশীলগুলাও একই কাম করবে।

মূলত এই সুশীলগো প্রতিরোধ করতেই আমার এ-টীমে যোগদান। রাজাকাররা বাংলার মানুষের ওপেন শত্রু, সুশীলরা গোপন। রাজাকারদের এক পায়ের গদাম লাথি দিলে, সুশীলদেরকে জোড়া পায়ের গদাম লাথি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০০৮ রাত ২:২৭
২০টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×