রাত প্রায় ৩ টা।
আকাশ অন্ধকার;
চারিদিকে কুয়াশায় ঢাকা...
পাশের পুকুরে ডাকছে ঝিঁঝিঁ পোঁকাড়ারা...
সাথে একটা কুকুরের ডাক...
এর সাথে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাশের বিল্ডিং থেকে ভেসে আসছে...
এদের সাথেই আবার তারও দূর থেকে একটা চির চেনা গানের সুর ভেসে আসছে, তবে তেমন শোনা যাচ্ছে না, তাই কী গান হতে পারে, সেটাও ঠিকমত বুঝা যাচ্ছে না!
তবুও আমি শোনার চেষ্টা করছি,
কষ্ট হচ্ছে, তাও বুঝার চেষ্টা করছি...
একসময় আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম,
ব্রেন হয়ে গেলো বিরক্ত,
কপাল হয়ে গেলো ব্যথা
আর কান হয়ে গেলো ব্যর্থ...
তবুও ভাবছি দূর থেকে ভেসে আসা সুরটার কথা!
কী গানের সুর হতে পারে! তাও এই মধ্যরাতে!
দুঃখের গানের সুর? নাকি সুখের?
আচ্ছা দুঃখের গান হলে, কী এমন দুঃখ তার? যা সে এই মধ্যরাতে সব দুঃখ এই অস্পষ্ট সুরের গানকে দিয়ে দিচ্ছে!
কিংবা সুখের গান হলে, কী সেই গান? যে গানের মাঝে সে এত সুখ খুঁজে পাচ্ছে!
জানতে পারলে বড্ড ভালো লাগতো...
আমি সবাইকে সেই গান ফেরি করে বেড়াতাম!
সবাইকে বলতাম, আমার কাছে একটা সুখের গান আছে, চাইলে আপনারাও শুনতে পারেন!
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে,
খুব!
কী গান হতে পারে!
উহু! এইবার পুরো শরীর ব্যথা করছে...
কল্পনায় কতকিছু যে ভাবতে ভালো লাগে,
আমি জানিও না, যিনি এই গান শুনছেন, তাঁর মনে দুঃখে ভরা, নাকি সুখে?
মানুষ চাইলেই ইচ্ছেমত কল্পনা করতে পারে,
হোক সুখের কিংবা দুঃখের...
তবে দুঃখের কল্পনা করতে কারও ভালো লাগে না,
এই যে আমি ভাবছি,
মানুষটা সম্ভবত সুখের গানই শুনছে...
হয়তো শুনছে,
"তুমি যে আমার কবিতা
আমারও বাঁশীর রাগিনী
আমার স্বপন আধ-জাগরণ
চিরদিন তোমারে চিনি"...
কে জানে! কী গান!
নয়ন বড়ুয়া
জানুয়ারি, ২০২৪