আমার বিকেলে বেলায় গ্রামের মেঠোপথ ধরে খুব হাঁটতে ইচ্ছে করে!
এক পাশে গরুর দল হাঁটবে, দলবেঁধে...
পেছনে থাকবে রাখাল ছেলে, হাতে থাকবে বাঁশি, খুব সুরে বাজাবে...
যদিও হেঁটে বাঁশি বাজানো খুবই কঠিন কাজ!
কিন্তু রাখাল ছেলে তা অবলীলায় বাঁজিয়ে মাতিয়ে রাখবে প্রকৃতিকে...
বিকেলের হাঁটা আমার অসম্ভব প্রিয়...
মনে হয়, সব ক্লান্তিতা দূর হয়, এই পরিবেশে...
তপ্ত সূর্যের আলো ছুঁই ছুঁই করেও শরীর স্পর্শ করবে না!
বিকেলে সেইও শান্ত হয়ে যায়...
তারও যে অন্যদেশে যাওয়ার তাড়া আছে!
তার তো চোখে ঘুমও নাই!
ঘুমহীন চোখ লাল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক...
সেই লালে বিকেলে পুরো আকাশ ঢেকে থাকে...
সেই লালের রশ্মি পড়ে নদীতে!
বিকেলে নদীরা নাকি শান্ত থাকে!
দিনভরের ক্লান্তি দূর করতে তারাও নাকি রাখালের বাঁশির সুর শোনার অপেক্ষা করে!
অপেক্ষা করে হয়তো, এক ঝাক নাম না জানা পাখিরাও!
দলবেঁধে গাছের মগডালে বসে থাকে...
হয়তো তারাও ক্লান্তি দূর করার জন্য বসে আছে!
হালকা বাতাস বয়বে,
আর আমি ক্লান্তি দূর হওয়ার জন্য নদীর পাড়ে বসে থাকবো...
বাড়ি ফেরার তাড়া কারও নেই,
নেই আমারও...
আমার যে অনেক হাঁটতে ইচ্ছে করে!
হেঁটে সমুদ্র দেখার ইচ্ছে করে!
রাস্তায় নানান মানুষ দেখে দেখে, তাদের সারাবেলার গল্প শুনতে ইচ্ছে করে!
সব গল্প সমুদ্রকে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে!
দেখো হে সমুদ্র,
মানুষ এখন আর মানুষ নাই,
যান্ত্রিক হয়ে গেছে,
কেউ ছুটে টাকার পেছনে, কেউ বা মোহর...
হে সমুদ্র তুমি খুব ভালো আছো,
তুমি রেগে গেলে ঢেউ দিয়ে নিজের ক্ষোভ ঝাড়ো,
কিন্তু মানুষ নিজের ক্ষোভ মেটাতে মানুষকেই মেরে ফেলে...
তুমি এভাবেই থেকো,
আমি আসবো,
যেদিন ইচ্ছে হয় আবারও স্বপ্নে...
আমার বিকেলের স্বপ্নে...
নয়ন বড়ুয়া
জানুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫